
সৌদি আরবের ঈদ কবে – বাংলাদেশ ও সৌদি আরব ঈদ ২০২৫
সৌদি আরবের ঈদ কবে?
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও বিশেষজ্ঞদের সূত্র থেকে জানা গেল সৌদি আরবের ঈদ কবে পালন করা হবে। এ বিষয় আমি আপনাদের বিস্তারিত আজকের এই পোস্টে জানাবো।
২৯ মার্চ সৌদি আরবের সূর্যস্তের সময় চাদের বয়স থাকবে মাত্র ৪-৫ ঘন্টা এবং আকাশে চাঁদ হালকা দেখাবে তা খালি চোখো দেখা সম্ভব হবে না। তাই সৌদি থেকে টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে তবে সেটাও সম্ভব কম রয়েছে কারন: সেই সময় মাত্র ৩-৫ মিনিট সময় ধরে আকাশে চাঁদ উঠতে পারে। তাই চাঁদ আকাশে খুঁজে দেখতে দেখতে চাঁদ আবার ডুবে যেতে পারে সেই কারনে বিশেষজ্ঞ ও রির্সাচ টিম বলছে ২৯ মার্চ সূর্যস্তের পর চাঁদ দেখা সম্ভব নাও হতে পারে।
তবে সৌদি চাঁদ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে মাত্র পাঁচ মিনিটের। যদি পাঁচ মিনিটের ভেতর চাঁদ আকাশে খুঁজে দেখতে পারে তাহলেই সৌদি আরবের ৩০ মার্চ ঈদ পালন হবে।
সৌদি ও বাংলাদেশ একই দিনে ঈদ হবে কি না
যদি সৌদি আরবে ২৯ শে মার্চ সূর্য অস্তের পরে চাঁদ দেখতে পান তাহলে ৩০ শে মার্চ সৌদি আরবে ঈদ পালন হবে। আর যদি ২৯ শে মার্চ সৌদি আরবের চাঁদ নাচ দেখতে পান তাহলে ৩০ শে মার্চ শুধু অস্তের পরে চাঁদ দেখা যাবে স্পষ্টভাবে কারণ সেই সময় চাঁদের বয়স থাকবে ২৪ থেকে ২৫ ঘন্টা। আর এই সময় স্যার স্পষ্টভাবে সব জায়গা থেকে দেখা যাবে। যদি সৌদি আরবে ২৯ তারিখে চাঁদ না দেখা যায় তাহলে ৩০ তারিখের সবাই দেখতে পারবে।
তাহলে একই দিনে সৌদি আরবসহ বাংলাদেশ এবং মধ্যস্তরের কিছু দেশ আর এশিয়ার মধ্যে সকল ইসলামিক দেশে একই দিনে ঈদ পালন হবে। তাই যদি ৩০ শে মার্চ সূর্য অস্তের পরে চাঁদ দেখা যায় তাহলে ৩১ শে মার্চ ঈদ পালন করা হবে প্রতিটা দেশে।
এই কারনে বিশেষজ্ঞ মনে করেন এই বছর একটি বিরল ঘটনা ঘটতে পারে। এই বছর বাংলাদেশ ও সৌদি আরবে একই সাথে ঈদ পালন হতে পারে। যেটি বিগত বছরে সম্ভব হয়নি। কারণ সৌদি আরবে বাংলাদেশ থেকে একদিন আগে ঈদ পালন করা হয়ে থাকে। সেই কারণে এই বছর যদি সৌদি আরব ২৯ শে মার্চ চাঁদ না দেখতে পান তাহলে ত্রিশে মার্চ প্রতিটা দেশেই দেখতে পারবে এবং একই সাথে তারা ঈদ পালন করতে পারবেন।
ইসলামিক শরীয়তের দৃষ্টিতে চাঁদ দেখার নিয়ম
সৌদি আরবে টেলিস্কোপ ও প্রযুক্তি নির্ভর করে চাঁদ দেখা হয়ে থাকে এবং তারা এই চাঁদ দেখেই ঈদ পালন করে থাকেন। এবং এটি শুনেই বাংলাদেশে অনেক জায়গায় ঈদ পালন হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি ইসলামিক শরীয়তের দৃষ্টি থেকে ঈদ পালন করে থাকেন তাহলে আপনাকে নিজের দৃষ্টিকোণ থেকেই চাঁদ দেখতে হবে। নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদ দেখার পরেই আপনি ঈদ পালন করতে পারবেন।
যেহেতু চাঁদ যখন তার নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছা যায় তখন প্রতিটা দেশ থেকেই এবং প্রতিটা স্থান থেকেই চাঁদ দেখতে পাওয়া যায়। তাই অন্যের উপর নির্ভর না করে নিজেই চাঁদ দেখে ঈদ পালন করা উত্তম।
বিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন হলে কি হবে
সারা বিশ্বের যদি একই দিনে ঈদ উদযাপন করা হয়ে থাকে তাহলে ইসলামের বিশেষ প্রচার বৃদ্ধি হয়। এর কারণ হলো উম্মাহর ঐক্য প্রতিফলিত হয় এবং প্রবাসী মুসলমানদের জন্য যে আনন্দ আরো বিস্তৃত হয়ে থাকে। তাছাড়া ঈদ পালনের উৎসব আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলামকে ইতিবাচক প্রচার ঘটবে। এই কারণে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বিশ্বে যদি একই দিনে ঈদ পালন করা হয়ে থাকে তাহলে একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশ একই দিনে কি ঈদ পালন করা হয়েছে
২০১৬ এবং ২০২২ সালে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সৌদি আরব এবং বাংলাদেশ একই দিনে ঈদ পালন করেছিল। কিন্তু এর আগে বা পরে একদিনের ব্যবধান ছিল। তাই সেই কারণে বলা হচ্ছে যদি 2025 সালে একই সাথে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরব ঈদ পালন করে থাকে তাহলে এটিও একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হবে।
বাংলাদেশ থেকে চাঁদ দেখার সময়
বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ কিছু বিশেষজ্ঞ জানান ২৯ শে মার্চ সূর্যাস্তের পরে চাঁদের বয়স এক ঘন্টা ১৬ মিনিট হবে তাই বাংলাদেশ থেকে খালি চোখে চাঁদ দেখা সম্ভব নাও হতে পারে। সেই কারণে বাংলাদেশ থেকে পুরোপুরি চাঁদ দেখা যাবে ৩০ শে মার্চ এবং বাংলাদেশে ঈদ পালন করা হবে ৩১ শে মার্চ।
যদি ২৯ তারিখে চাঁদ না দেখা যায় তাহলে ৩০ শে মার্চ চাঁদ দেখা যাবে এবং এবছর রোজার পালন দিন হবে ৩০ দিন। কারণ ১ই মার্চ থেকে রোজা পালন শুরু হয়েছে এবং শেষ হবে চাঁদ দেখেই। চাঁদ দেখেই ঈদ রোজা পালন করা হয় এবং চাঁদ দেখেই রোজা শেষ করা হয়। সেই কারণে ২৯ তারিখে যদি চাঁদ না দেখা যায় তাহলে ৩০ তারিখে চাঁদ দেখলে ৩০ দিন রোজা পালন করা হবে। আর যদি ২৯ তারিখের চাঁদ দেখা যায় তাহলে এই বছর ২৯ টি রোজা পালন করা হবে।