বেসিক ব্যাংকে একাউন্ট

বেসিক ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম ও সুবিধা

আপনি একটি নিশ্চিত ও নিরাপদ একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমাদের এই পোস্টে ব্যাংকের একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে টাকা জমা দেওয়া ও উঠানো সকল সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন। বাংলাদেশি অনেক ধরনের ব্যাংক রয়েছে সব ধরনের ব্যাংকের সুবিধা অসুবিধা বিভিন্ন রকম। তাই ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে সে সম্বন্ধে আমরা আজকে আলোচনা করব।

সূচিপত্রঃ

বেসিক ব্যাংকে একাউন্ট খোলবো কেন?

আপনারা যারা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকেন তাদের আর্থিক সম্পত্তি রক্ষার জন্য একটি নিরাপদ ব্যাংক একাউন্ট প্রয়োজন তাই বেসিক ব্যাংকে একটি নিরাপদ একাউন্ট খুলতে পারেন। বেসিক ব্যাংক একটি বেসরকারি ব্যাংক হলেও অনেক টা সুবিধা রয়েছে।

একাউন্ট করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন

একটি একাউন্ট করতে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন। তাই বাড়িতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো যত্ন সহকারে গুছিয়ে রাখবেন যাতে খুব সহজে সেটি আপনি খুঁজে পান। নিচের কাগজপত্র অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয়।

  • আবেদন ফরম
  • নাগরিক সনদপত্র
  • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৫ কপি
  • নমিনির এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
  • নমিনির পাসপোর্ট সাইজের ছবি ২ কপি
  • কারেন্ট বিলের ফটোকপি
  • একটি নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর

বেসিক ব্যাংকে একাউন্টের ধরন

এই ব্যাংকে আপনি কোন সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না। আপনার যদি কোন সেভিংস অ্যাকাউন্ট ওই ব্যাংকে থাকে তাহলে নতুন অ্যাকাউন্ট খুললে পুরনো একাউন্ট ৩০ দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে আপনি রেকারিং ও ফিক্সড একাউন্ট খুলতে পারেন।

বেসিক ব্যাংকের একাউন্ট চেক করার নিয়ম

আপনি তিন ধরনের সিস্টেমে একাউন্ট চেক করতে পারেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে, এটিএম এর মাধ্যমে অথবা ব্যাংকে গিয়ে

ইন্টারনেট ব্যাংকিং

ইন্টারনেট ব্যাংকিং একটি সহজ ও নির্ভরযোগ্য ধাপ। একটি অ্যাপস দিয়ে আপনি আপনার ব্যালেন্স চেক করতে পারেন। তাই এই বেসিক ব্যাংকের অ্যাপসটি ডাউনলোড করে ইনেস্টল করে নিতে হবে। অ্যাপটির নাম হলো Magpie app.

এটিএম কার্ড ব্যবহার করে

ব্যাংক থেকে একাউন্ট করার পর এটিএম কার্ডের জন্য আবেদন করলে ব্যাংক থেকে একটি এটিএম কার্ড প্রদান করা হয়। সেই কার্ডের মাধ্যমে এটিএম বুতে গিয়ে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন এটি একটি খুবই সহজ ধাপ।

  1. ডাচ বাংলা ব্যাংক

    ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম – IBBL Account Create 2024

  2. ইসলামী ব্যাংক

  3. সোনালী ব্যাংক একাউন্ট

বেসিক ব্যাংকে একাউন্ট খোলার চার্জ

ব্যাংকের একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে যে ব্যাংকে থেকে একাউন্ট করবেন সেই ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী একটি চার্জ কাটবে। এখানে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ কাটতে পারে কিন্তু এই টাকা আপনার একাউন্টে এড করে দেয়া হবে।

বেসিক ব্যাংকের ফোন নম্বর ও ইমেইল নাম্বার

আপনি বেসিক ব্যাংকের যেকোনো তথ্যের জন্য সরাসরি ফোন করে অথবা ইমেইলের মাধ্যমে জানতে পারবেন।

বেসিক ব্যাংকের ফোন নম্বর হল :-

১। (৮৮০২)২২৩৩৮৮১৯০
২। ২২৩৩৮৪৮৩০
৩। ২২৩৩৫৯৫৮৯-৯০
৪।২২৩৩৫৯১৮৫-৮৬(NFC)

ফ্যাক্স ও করতে পারেন

+(৮৮০২)৯৫৬৪৮২৯

ইমেইল নম্বর হলো

www.basicho@basicbanklimited.com

কত টাকা জমা রাখতে হবে বেসিক ব্যাংক একাউন্টে

অ্যাকাউন্ট খুলতে টাকার লেনদেন বিভিন্ন ব্যাংকের বিভিন্ন নিয়ম কানুন আছে। এক এক ধরনের ব্যাংক এক এক ধরনের নিয়ম ও সেই নিয়ম অনুযায়ী টাকা জমা দিতে হয়। তাই কত টাকা জমা দিতে হবে সেটি ব্যাংকের কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জমা দিতে হবে।

বেসিক ব্যাংকে সুদের হার

বেসিক ব্যাংকে সঞ্চয় হিসেবে প্রচলিত সুদের বোনাস বিদ্যমান। তাই মানুষ এই সঞ্চয় হিসাবটি খুললে টাকা জমা দিয়ে সুদের হার পায় তাই এটিতে সবাই সঞ্চয় রাখতে অভ্যস্ত হয়। অভিভাবকের কর্তৃক পরিচালিত নাবালকের নামেও হিসাব খোলা যায় এই হিসাব ন্যূনতম ১০০০ টাকা জমা দিতে হয়।

বার্ষিক সুদের হার

বেসিক ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব খুললে প্রতিবছর একটি ইন্টারেস্ট একাউন্টে জমা হয়। এটি বার্ষিক ৩.৫০% পর্যন্ত প্রদান করা হয়।নিচে সুদের আর সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

বার্ষিক সুদের হার

৫০০০০ থেকে ১০০০০০ সুদের হার ৫০০ টাকা
১০০০০০ থেকে ২০০০০০ সুদের হার ১০০০ টাকা
২০০০০০ থেকে ৩০০০০০ সুদের হার ১৫০০ টাকা
৩০০০০০ থেকে ৪০০০০০ সুদের হার ২০০০ টাকা
৪০০০০০ থেকে ৫০০০০০ সুদের হার ২৫০০ টাকা
৫০০০০০ থেকে ৬০০০০০ সুদের হার ৩০০০ টাকা
৬০০০০০ থেকে ৭০০০০০ সুদের হার ৩৫০০ টাকা

এভাবেই সুদের হার যত টাকা হবে তত বেশি সুদের হার বাড়তে থাকবে

বেসিক ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট

আপনি যদি ৮ বছরের কম বয়স হয় তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা করতে পারবেন।আর যদি আপনার বয়স ৮ বছরের বেশি হয় তবে আপনি সেভিংস একাউন্ট অথবা স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন।

স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১। জন্ম সনদের ফটোকপি
২। নাগরিক সনদপত্র
৩। পিতা-মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি
৪। পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৫। পিতা মাতার পাসপোর্ট সাইজের ছবি

Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *