বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচকে ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে উত্তেজনা তুঙ্গে। সিরিজের শুরুটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি আজকের ম্যাচও দুই দলের জন্য সমানভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আর ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, প্রথমে বোলিং করে আয়ারল্যান্ডকে চাপে ফেলা এবং লক্ষ্য তাড়া করা তুলনামূলকভাবে সহজ হবে।
বাংলাদেশ দলের আজকের একাদশে বড় কোনো চমক নেই। তবে দেখা যাচ্ছে, দলে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সুন্দর এক সমন্বয়। পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাসকিন আহমেদ, সঙ্গে আছেন শোরফুল ও তরুণ পেসাররা। স্পিন বিভাগে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসানের ওপরই আস্থা রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে শুরুতে দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়া ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাই প্রথম ৬ ওভার পাওয়ারপ্লেতে আয়ারল্যান্ডকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েই মাঠে নেমেছে টাইগাররা।
আয়ারল্যান্ড দল টি টোয়েন্টিতে সবসময়ই অপ্রত্যাশিতভাবে ভাল খেলতে পারে। পাওয়ার হিটিং এ তারা বেশ শক্তিশালী। বিশেষ করে পল স্টার্লিং ও হ্যারি টেক্টর এই দু’জনকে শুরুতেই থামাতে পারলে বাংলাদেশের কাজ সহজ হবে। আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে অতীতে কয়েকটি ম্যাচে তীব্র লড়াই দিয়েছে। বিশেষ করে হঠাৎ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করলে তাদের থামানো কঠিন হয়। তাই বাংলাদেশের বোলারদের পরিকল্পনা অনুযায়ী লাইন–লেংথ ধরে রাখা আজ অত্যন্ত প্রয়োজন।
আরো পড়ুন : ২০২৬ সালের মার্চে শুরু হচ্ছে ফিফার নতুন টুর্নামেন্ট:ফিফা সিরিজ-
ঢাকা বা চট্টগ্রামের উইকেট সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক হলেও একটু সময় লাগলে বোলাররাও সুবিধা আদায় করে নিতে পারে। ফলে ম্যাচের শুরুতে বল কতটা সুইং করবে এবং স্পিনাররা টার্ন পাবেন কি–না এটাও গুরুত্বপূর্ণ। টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশ দল উইকেটের চরিত্র বুঝে ব্যাটিং দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধা পাবে বলে মনে করছে। এমনকি শিশির পড়লে রান তাড়া করাও সহজ হতে পারে।
ব্যাটিং বিভাগে নজর থাকবে লিটন দাস তামিম ইকবাল ও নাজমুল শান্তর দিকে। এই তিনজনের যেকোনো একজন যদি ইনিংস লম্বা করতে পারেন তাহলে জয়ের পথ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। মধ্য পর্যায়ে সাকিব ও মুশফিকের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটাররা সবসময়ই দলের ভরসা। শেষ দিকে রিয়াদ কিংবা ইয়াসির আলীর ফিনিশিং–ও আজ বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রথম টি টোয়েন্টি হওয়ায় দুই দলই চাইবে ইতিবাচক সূচনা করতে। বাংলাদেশ যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী শুরুতেই আয়ারল্যান্ডকে চাপে ফেলতে পারে তাহলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ টাইগারদের হাতেই থাকবে। একইভাবে আয়ারল্যান্ডও পাওয়ার হিটিং এর শক্তি দিয়ে বড় সংগ্রহ গড়ার চেষ্টা করবে। সব মিলিয়ে আজকের ম্যাচটি হতে যাচ্ছে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।
টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তকে ঘিরে দর্শক ও বিশ্লেষকদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এখন মাঠের খেলাই বলে দেবে বাংলাদেশ কীভাবে সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে। ক্রিকেটপ্রেমীরা অপেক্ষায় আছে আরেকটি রোমাঞ্চকর ম্যাচের। আশা করা যায়, টাইগাররা সেরা পারফরম্যান্স দিয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নেবে।

