কিডনি কি কি কারণে নষ্ট হতে পারে – কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

আমি আজকে কথা বলব যে কিডনির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অর্থাৎ ধীর গতিতে কিডনি বিকল হতে পারে বা আকর্ষী কিডনি বিকল হতে পারে। ধীর গতিতে কিডনি বিকলের কারণের মধ্যে আপনারা অনেকেই জানেন হাইপার টেনসন, ডায়াবেটিস হতে পারে।

আকর্ষিত কিডনি বিকল্প আর কিউট কিডনি আমরা যেটা বুঝি যে হঠাৎ করে রোগীর কিডনি বিকল হয়ে যায়। কিন্তু এটাকে আবার স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আনা সম্ভব অর্থাৎ কিডনি রিভার্স এবং মানুষটাকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এখন আকর্ষী কিডনি বিকল সাধারণত যে কারণে হয়ে থাকে যেমন ডায়রিয়া।

ডায়রিয়ার কারনে কিডনি নষ্ট হতে পারে

বাংলাদেশে অত্যন্ত কমন ডায়রিয়া হলে পানি শূন্যতা হয়। রোগীরা ঠিকমত খাবার স্যালাইন খায় না, যার জন্য প্রতিবার পাতলা পায়খানার সাথে রোগীর অনেক পানি বের হয়ে যায়। লবণের ঘাট দিয়ে হয় এবং অঙ্কটিক প্রেসার কমে যাওয়াতে ব্লাড বলিউম কমে যায়। ব্লাড প্রেসার কমে যায় সো একিউট কিডনি ফেলিওর বা একিউট কিডনি ইনজুরি বা কর্শ কিডনি বিকল হতে পারে।

তো ডায়রিয়া হলে অবশ্যই অবহেলা করবেন না প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে রখাবার স্যালাইন পরিমাণমতো খাবেন। আর তাতে করে পানি বা ইলেকট্রোলাইসের ঘাটতি হবে না।

অ্যাবোশনের কারনে কিডনি নষ্ট হতে পারে

আর একটা কারণ যে, মহিলারা অনেক সময় যেখানে সেখানে অ্যাবোশন করে থাকে সেই অ্যাবোশনের কারণে সেফটিক হতে পারে। সেফটি সিমিয়া ডেভেলপ করে অর্থাৎ সেফটিক অ্যাবোশনের কারণেও কিন্তু আকর্ষিক কিডনি বিকল হতে পারে। সেটা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেও হতে পারে অথবা সেফটি সিমিয়ার কারণেও হতে পারে। তাই যেখানে সেখানে মহিলারা যত্র তত্র অ্যাবোশন করবেন না।

গর্ভপাত্রের জন্য বা ডেলিভারির কারনে কিডনি নষ্ট হতে পারে

আবার অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক ব্লিডিং যে সমস্ত মহিলাদের হয় গর্ভপাত্রের জন্য বা ডেলিভারির সময় তাদেরও কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য আকর্ষিক কিডনি বিকল হতে পারে। এছাড়া আকর্ষিক কিডনি বিকল আমরা প্রায়ই দেখি যে রোগীরা ফার্মেসিতে যেয়ে একটা ব্যথা নাশক ওষুধ বা এন্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলে।

ভয়ঙ্কর একটা জিনিস এতে করেও কিন্তু আকর্ষিক কিডনি বিকল হতে পারে যেহেতু আকর্ষিক কিডনি বিকল টা রিভার্সেবল এবং রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব। এ কারণে আমরা চাইবো যে আকর্ষিক কিডনি বিকল যাতে না হয় আপনারা সচেতন হবেন অর্থাৎ আইডিয়া হলে সময়মতো চিকিৎসা নেবেন এবং খাবার স্যালাইন খাবেন যাতে পানি বা এলেকটরালাইসিসার ইনব্যালেন্স না হয়। চিকিৎসক বা কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়াটিকস বা ব্যথা নাশক ওষুধ খাবেন না।

আর মহিলারা যেখানে সেখানে গর্ভপাত বা ডেলিভারি করাবেন না তাতেও কিন্তু অনেক ঝুঁকি থেকে যায়। তাছাড়া রেনাল স্টোন ডিজিস অর্থাৎ কিডনিতে পাথরের কারণেও কিন্তু আকর্ষিক কিডনি বিকল হতে পারে।

আবার জরায়ুতে অনেক সময় অপস্ট্রাক্টিভ নেফ্রো ব্যাথি হয়েও আকর্ষিক কিডনি বিকল হয় জরায়ু ক্যান্সারের কারণে বা যেকোনো ক্যান্সারকে মুথেরাপি দিলেও আকর্ষিক কিডনি বিকলে সম্ভাবনা থাকে। একয়ো তিনটে সিসিয়াল নেফরাইটিস হয়ে এগুলা ব্যাপারে অনেক বেশি কেয়ারফুল হতে হবে।

আর ধর্গতিতে কিডনি বিকলের ক্ষেত্রে আমরা বলবো প্রিভেনশনের জন্য আপনারা অবশ্যই উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিক্স কন্ট্রোলে রাখবেন। খাওয়া দাওয়াটা কন্ট্রোলে রাখবেন আর যদি ইতিমধ্যেই আপনারা দর্ঘদিন ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগেন কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।

কারণ তারা আপনাকে একটা লাইফ স্টাইল বা ডায়েট মডিফিকেশন বলে দিতে পারবে। যাতে করে আপনার প্রগ্রেশনটা অনেক তাড়াতাড়ি ডায়ালাইসিসে যেতে হবে না। আপনি ওষুধ এবং ডায়েটের মাধ্যমে দর্ঘদিন সুস্থভাবে জবনযাপন করতে পারবেন। তাই আমাদের প্রত্যাশা হবে সবাই ভালো থাকবেন আর সময়মতো কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে কিডনির পরক্ষা করে জেনে নিবেন যে কিডনি সুস্থ আছে কিনা।

Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *