হ্যামিল্টনে ইতিহাস গড়ল নিউজিল্যান্ড! ১২ বছর পর ইংল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে নতুন করে নিজের আধিপত্যের জানান দিল কিউইরা। তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে থেকে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করল সিরিজ জয়। ঘরের মাঠে ১৭ বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের এ সাফল্য নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে এনে দিল নতুন আত্মবিশ্বাস ও উদ্দীপনা।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের নিখুঁত লাইন ও লেংথে রীতিমতো দিশেহারা ছিল ইংলিশ ব্যাটাররা। মাত্র ৩৬ ওভার টিকেই দলীয় ১৭৫ রানে অলআউট হয় তারা।
শেষ দিকে জেমি ওভারটনের ৪২ রানের ইনিংস কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তবুও ব্লেয়ার টিকনারের আগুনে বোলিংয়ে (৩৪ রানে ৪ উইকেট) পুরো ইনিংস ভেঙে পড়ে। তিনিই ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন জফরা আর্চার। দীর্ঘ ইনজুরি কাটিয়ে ফিরে তিনি যেন পুরনো ছন্দে।
১০ ওভারে ৪ মেডেনসহ মাত্র ২৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের শুরুর ব্যাটিং লাইনে আগুন ঝরান তিনি আউট করেন ওপেনার উইল ইয়াং, রাচিন রবীন্দ্র ও মাইকেল ব্রেসওয়েলকে।
তবু আর্চারের সেই ঝলকও জয় এনে দিতে পারেনি ইংল্যান্ডকে।
১৭৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা ছিলেন আত্মবিশ্বাসী ও স্থির।
রাচিন রবীন্দ্রর ৫৪, ড্যারিল মিচেলের ৫৬ এবং শেষ দিকে মিচেল স্যান্টনারের ১৭ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৩৩.১ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে কিউইরা।
এই জয়ে নিউজিল্যান্ড প্রমাণ করল, তারা এখনও বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই।
আরো পড়ুন : ২০২৬ সালে আবারও বিশ্বকাপ খেলতে চান মেসি
২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। গত ২৫ ম্যাচে এটি তাদের ১৭তম হার। একসময় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটি এখন যেন আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে।
১২ বছর পর ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারানো নিউজিল্যান্ডের জন্য মানসিকভাবে বিশাল প্রাপ্তি। তরুণ ও অভিজ্ঞদের মেলবন্ধনে তৈরি এই দল ভবিষ্যতে আরও চমক দেখাবে বলে আশাবাদী কিউই সমর্থকরা।


 

