
vivo Y29t 5G হলো মিড রেঞ্জ বাজেটের একটি স্মার্টফোন, যা বিশেষ করে ব্যাটারি, ৫G কানেক্টিভিটি ও আধুনিক ডিজাইন দিয়ে নজর কাড়ে। এই ফোনে রয়েছে ৬.৭৪ ইঞ্চির IPS LCD ডিসপ্লে যার ৯০Hz রিফ্রেশ রেট স্ক্রলিং ও ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা করে আরও স্মুথ। শক্তিশালী ৬০০০mAh ব্যাটারি থাকায় পুরোদিনের ব্যবহার অনায়াসে চলে যায়।
MediaTek Dimensity 6300 চিপসেট এবং ৬/৮ জিবি RAM দিয়ে সাধারণ কাজ, মাল্টিটাস্কিং বা হালকা গেমিং খুবই ভালো চলে। ফোনটি Android 15 এবং Funtouch OS 15-এ চলায় ইউজার ইন্টারফেস অনেক আধুনিক। পেছনে রয়েছে ৫০MP প্রাইমারি ক্যামেরা, যা ভালো আলোতে ভালো ছবি তোলে, যদিও সেলফি ক্যামেরা মাত্র ৫MP।
এই ফোনে ৫G, ব্লুটুথ ৫.৪, Wi-Fi ac, টাইপ-সি পোর্ট, সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর রয়েছে। তবে এতে ৩.৫mm হেডফোন জ্যাক, NFC ও রেডিও নেই, যা কিছু ব্যবহারকারীর জন্য অসুবিধাজনক হতে পারে।
মোট কথা, যারা ৩০-৩২ হাজার টাকায় একটি আপডেটেড এবং ব্যাটারি-ফোকাসড স্মার্টফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য vivo Y29t 5G হতে পারে একটি দুর্দান্ত চয়েস।
ফোনের ডিজাইন ও ডিসপ্লে কেমন?
vivo Y29t 5G ফোনটির ডিজাইন বেশ আকর্ষণীয়। টাইটানিয়াম গোল্ড এবং জেড গ্রিন – দুটি দারুণ রঙে পাওয়া যাবে ফোনটি সাইজে বড় হলেও হাতে ভালো গ্রিপ দেয়। এর ডিসপ্লে ৬.৭৪ ইঞ্চির IPS LCD প্যানেল, যার রিফ্রেশ রেট ৯০Hz এবং ব্রাইটনেস ৫৭০ নিট—যা এই বাজেটে অনেক ভালো।
৬০০০mAh ব্যাটারি ও পারফরম্যান্স কেমন?
এই ফোনের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে বিশাল ৬০০০mAh ব্যাটারি। দিনে একবার চার্জ দিলেই পুরোদিন চলবে! সঙ্গে রয়েছে MediaTek Dimensity 6300 চিপসেট যা দামে অনুযায়ী ভালো পারফর্মেন্স দেয়। Android 15 ও FunTouch OS 15 থাকায় সফটওয়্যার দিক থেকেও বেশ আপডেটেড।
- বড় ডিসপ্লে ও ভালো রিফ্রেশ রেট: ৬.৭৪ ইঞ্চির স্ক্রিন ও ৯০Hz রিফ্রেশ রেট স্ক্রলিং এবং ভিডিওতে স্মুথ অনুভূতি দেয়।
- ৬০০০mAh বিশাল ব্যাটারি: একবার চার্জে অনায়াসে দিন পার!
- Android 15 ও Dimensity 6300: আপ-টু-ডেট অপারেটিং সিস্টেম ও দারুণ প্রসেসর।
- স্টাইলিশ ডিজাইন: দুটি ইউনিক কালারে পাওয়া যাবে যা হাতে নিলে প্রিমিয়াম ফিল দেয়।
ক্যামেরা পারফরম্যান্স কেমন?
ফোনে রয়েছে সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও ফেস আনলক যা দ্রুত কাজ করে। এছাড়াও অ্যাক্সেলেরোমিটার, জাইরো, প্রক্সিমিটি ও কম্পাস সেন্সর রয়েছে, যা স্মার্টফোনের বেসিক কাজগুলো করতে সহায়তা করে।
কানেক্টিভিটি ও নেটওয়ার্ক
৫জি সাপোর্ট থাকায় ভবিষ্যৎ নিরাপদ। এছাড়াও ডুয়াল সিম সাপোর্ট, ওয়াইফাই ac, ব্লুটুথ ৫.৪, জিপিএস ও ইউএসবি টাইপ-সি রয়েছে। তবে রেডিও ও NFC নেই।
- ৫০MP প্রাইমারি ক্যামেরা: ভালো আলোতে দারুণ ছবি।
- স্মার্ট সেন্সর: সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস আনলক নিরাপদ ও দ্রুত।
- ৫G নেটওয়ার্ক সাপোর্ট: ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত ফোন।
- ব্লুটুথ ৫.৪ ও Wi-Fi ac: ফাস্ট ও স্ট্যাবল কানেকশন।
পারফরম্যান্স ও গেমিং অভিজ্ঞতা
Dimensity 6300 চিপসেট এবং ৬/৮ জিবি RAM মিলে সাধারণ গেম, ভিডিও দেখা বা মাল্টিটাস্কিংয়ে ফোনটি যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করে।
অডিও ও মাল্টিমিডিয়া
লাউডস্পিকারে মিডিওকার সাউন্ড পাওয়া যায়, তবে ৩.৫mm হেডফোন জ্যাক না থাকায় আলাদা অ্যাডাপ্টার লাগবে।
আপনার জন্য: 24GB র্যাম ও 7410mAh ব্যাটারি নিয়ে মার্কেট কাপাতে আসছে সাওমি নতুন স্মার্টফোন Xiaomi Redmi K80 Ultra
আপনার জন্য আরো: Apple iPhone 17 Pro Max ফোনের স্পেসিফিকেশন প্রকাশ, 12GB র্যাম 5x Optical Zoom আরো যা থাকছে!
ফোনটির কিছু সীমাবদ্ধতা ও যদি থাকতো
- ৩.৫mm হেডফোন জ্যাক নেই: অনেকে এখনো তারযুক্ত হেডফোন ব্যবহার করেন।
- eMMC 5.1 স্টোরেজ: ইউএফএস না থাকায় স্পিড কিছুটা কম।
- চার্জিং স্পিড মাত্র ১৫W: বিশাল ব্যাটারির জন্য ২৫W বা বেশি চার্জার হলে ভালো হতো।
- ৫MP সেলফি ক্যামেরা: বাজেট মোবাইল হলেও ৮MP থাকলে সেলফি আরও ভালো আসত।
- NFC ও রেডিও নেই: যারা এই ফিচারগুলো ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এটি একটি মাইনাস পয়েন্ট।
ব্যবহারকারীর জন্য সুপার উপযোগী
- স্টুডেন্ট: ক্লাস, ভিডিও, অনলাইন লার্নিং-এর জন্য উপযুক্ত।
- ট্রাভেলার: ৬০০০mAh ব্যাটারি ও ৫G থাকার কারণে রাস্তায় দীর্ঘ সময় ব্যাকআপ পাওয়া যাবে।
- বেসিক ইউজার বা অভিভাবক: যাদের প্রয়োজন সিম্পল ইউজ, বড় স্ক্রিন ও ব্যাটারি।
- সাধারণ ফটোগ্রাফার: আলো ভালো থাকলে ছবি তুলতে ভালোই পারবে।
কেন কিনবেন?
vivo Y29t 5G এক কথায় “বাজেট কিলার” ফোন বলা যায়। যারা ৩০-৩২ হাজার টাকার মধ্যে একটি আপডেটেড, লং ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং ৫G সাপোর্টেড ফোন চান, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ চয়েস।
মূল্য: আনুমানিক ৩২,০০০ টাকা (বাংলাদেশে)
প্রকাশনা: এখনও অফিসিয়ালি ঘোষণা আসেনি, তবে শিগগির বাজারে আসতে পারে।