বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান কোম্পানি হলেও OpenAI এখনও প্রযুক্তিগতভাবে একটি নন-প্রফিট প্রতিষ্ঠান। ২০১৫ সালে এই কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল মানবজাতির ক্ষতি এড়াতে এবং বিনিয়োগকারীদের AI ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। কিন্তু এখন, OpenAI নন-প্রফিট কাঠামো পরিবর্তন করে আরও অর্থ তোলার এবং ভবিষ্যতে পাবলিক হওয়ার পরিকল্পনা করছে, যা গভীর বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
EyesOnOpenAI: সংস্থা যা OpenAI-কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়
EyesOnOpenAI হল বিভিন্ন অ্যাডভোকেসি গ্রুপের একটি জোট, যারা OpenAI-এর এই পুনর্গঠনকে চ্যালেঞ্জ করছে। TechEquity-এর সিইও ক্যাথরিন ব্রেসি এবং LatinoProsperity-এর সিইও অর্সন আগুইলার বলছেন, OpenAI নন-প্রফিট সুবিধা ভোগ করেছে, কিন্তু তার মূল মিশন থেকে বিচ্যুত হয়েছে। জোটটি আশঙ্কা করছে যে কোম্পানির লাভের দিকে ধাবিত হওয়া মানবকল্যাণের লক্ষ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আরো পড়ুন: ৫০ বছরে ভারতের জন্ম ও মৃত্যু হার অর্ধেক কমেছে
নন-প্রফিট বনাম লাভের লোভ
OpenAI-এর নন-প্রফিট কাঠামো ২০১৫ সালে তৈরি হয়েছিল AI কে মানবকল্যাণে কাজে লাগানোর জন্য। তবে সম্প্রতি কোম্পানি চেষ্টা করছে এই কাঠামোকে ঝাঁকিয়ে আরও বিনিয়োগ আনা এবং ভবিষ্যতে পাবলিক হওয়ার পথ খোলা। Sam Altman-এর একটি ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে, “প্রস্তাবিত পুনর্গঠনও ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং কার্যকরী নন-প্রফিট তৈরি করবে।” কিন্তু সমালোচকরা মনে করছেন, এই পরিবর্তন OpenAI-এর নীতির সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ AI কোম্পানির ভবিষ্যৎ
EyesOnOpenAI-এর মতে, এই বিতর্ক শুধু OpenAI-র জন্য নয়, বরং পুরো AI শিল্প এবং মানবকল্যাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগ ও নীতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা না হলে AI প্রযুক্তি মানুষের জন্য ক্ষতিকর পথে নিয়ে যেতে পারে।
OpenAI-এর পুনর্গঠন ও নন-প্রফিট বনাম লাভের দ্বন্দ্ব শুধু ব্যবসার দিক না, এটি AI-এর ভবিষ্যৎ, মানবকল্যাণ, এবং প্রযুক্তি নৈতিকতার জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এই বিতর্ক দেখাবে, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী AI সংস্থাগুলি কীভাবে মানবকল্যাণ ও লাভের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করবে।