HSC exam preparation

HSC exam preparation

পড়াশোনার প্রস্তুতি পরীক্ষায় লেখার নিয়ম

আপনারা যারা এইচএসসি পরীক্ষা দিবেন তারা সামনে এইচএসসি পরীক্ষার সম্পর্কে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে তাহলে একটি ভালো রেজাল্ট এবং ভালো সাফল্যই সামনে আসবে।

পড়াশোনার পরিকল্পনা

ভালো পড়াশোনার জন্য নিজের মানসিকতা ভালোভাবে প্রস্তুতি করতে হবে। অন্য মনোস্ক হলে ভালো রেজাল্ট করতে পারবেনা। ভালো রেজাল্ট করতে হলে আড্ডা এবং মোবাইল ফোনের ফেসবুক বাদ দিয়ে নিজেকে পড়াশোনার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

পড়ার সময়সূচি

পড়াশোনার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে এবং পড়াশোনার সময়সূচি নিজেকে ভাগ করে নিতে হবে।

পড়াশোনার জন্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে অবশ্যই পরীক্ষায় A+ পাওয়া সম্ভব ।নিচে পড়াশোনা সম্পর্কে কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া হল।

পরীক্ষা সামনে,কিছুই পড়ি নাই,কি করব, এই সমস্ত চিন্তা ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে

পড়াশোনা প্রস্তুতির রুটিন

১।নিজেকে সাবজেক্ট গুলো একটি একটি করে ভাগ করে নিতে হবে।
২। প্রতিটি সাবজেক্ট প্রতিদিন একবার করে অনুশীলন করতে হবে।
৩।প্রতিটা অধ্যায় মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
৪।প্রতিটা অধ্যায় রিভাইস দেওয়ার সময় অন্যমনস্ক বা ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া যাবে না
৫।মনে রাখতে হবে আপনাকে A+ পেতেই হবে ।

পড়াশোনা মনে রাখার কিছু শর্ট টেকনিক

যে বইটা তুমি একবার পড়েছ সেগুলো মাঝে মাঝে একবার রেভাইস দিতে হবে। যেগুলো পড়ো নাই ঐগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। যেগুলো মনে থাকবে না ওইগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ নোটে লিখে রাখতে হবে এবং নোটগুলো মাঝে মাঝে রিভাইস দিতে হবে। নিজের মত করে চার্ট গ্রাফ চিত্র সূত্র ছন্দ ইত্যাদি তৈরি করে সেগুলোকে পড়ার টেবিলের সামনে সাজিয়ে রাখতে হবে। যেগুলো দেখলেই মনে পড়ে যাবে।

যোগাযোগ

নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে এবং স্যারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সাজেশন নিতে হবে। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে হবে তারা কি ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে হবে। মোটামুটি সব কিছু ধারণা নিয়েই নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।

সময়ের মধ্যে পড়াশোনা করার টেকনিক

আপনি প্রতিদিন একটি সাবজেক্ট এক ঘণ্টা ধরে পড়বেন। ৬টি সাবজেক্ট ৬ ঘণ্টা

বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন বিভিন্ন জায়গাতে থেকে এসে থাকে। একটি সাবজেক্টে বিভিন্নভাবে প্রশ্ন করা হয়। তাই বিগত সালের প্রশ্নগুলো ও আমাদের অনুষ্ঠান করতে হবে এটা থেকে ৩০%-৪০% কমান থাকবেই। তাই বিগত সালের প্রশ্নগুলো এক নজর দেখে নিতে হবে

পরীক্ষার সময় লেখার টেকনিক

১।আপনি খাতায় আপনার রোল নাম্বার এবং রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সঠিকভাবে লিখতে হবে
২।দেওয়ার পর প্রশ্নগুলো সুন্দরভা বেমনোযোগ দিয়ে দেখে নিতে হবে
৩।একটি আনসার যদি ১৫ থেকে ২০ লাইন হয় সেই আনসার গুলো দিতে গেলে আপনি হিমশিম খেয়ে যাবেন।
৪।তাই আনসার লেখার সময় প্রথম হেডিংটা সুন্দর করে লিখবেন।
৫।হেডিং এর সাথে সম্পর্কযুক্ত পয়েন্টগুলো খুব সুন্দর করে সাজাতে হবে
৬।ফিনিশিং হেডিং টা খুব সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে হবে নিজের মতো করে।

নৈবত্তিক প্রশ্ন

নৈবত্তিক পড়ার কিছু টেকনিক আছে এই টেকনিকগুলো অবলম্বন করলে অবশ্যই আপনার নৈবিত্তিক গুলো আয়ত্তে চলে আসবে। মনে করেন পাঁচটি নৈব্যক্তিক আমি তিন মিনিটে পড়লাম। তাহলে ৩০ মিনেটে ৫০ টা এবং ৬০ মিনিটে ১০০ নৈব্যক্তিক পড়লাম এবার এদের মধ্যে যেগুলো পারবো না ঐগুলো নোট করে আলাদা করতে হবে। সেগুলো পিছনে আরেকটু সময় দিলে দেখবেন সেগুলো ক্লিয়ার হয়ে গেছে। তার মধ্যে অনেকগুলো আছে মনে থাকে না সেগুলো বারবার ট্রাই করতে হবে।

Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *