বাংলাদেশে মোটরসাইকেলপ্রেমীদের কাছে হোন্ডা একটি সুপরিচিত নাম। বিশেষ করে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরার বা এডিভি বাইকপ্রেমীদের মধ্যে Honda CB200X নিয়ে আগ্রহ থাকলেও এটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে পাওয়া যায়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় এসেছে হোন্ডার আন্তর্জাতিক লাইনআপের আরেকটি জনপ্রিয় মডেল Honda CB200X, যা নকশা ও পারফরম্যান্সের দিক থেকে ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
Honda CB200X – নকশা ও স্টাইল

CB200X বাইকটি মূলত অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরার ক্যাটাগরির ডিজাইন অনুসরণ করে তৈরি। হর্নেট 2.0 এর তুলনায় এতে এডিভি-স্টাইলের এক্সটেন্ডেড বডি কিট যুক্ত করা হয়েছে, যা অনেককে এটিকে হর্নেটের ফেয়ার্ড ভার্সন হিসেবে ভাবতে বাধ্য করেছে।
বাইকটিতে রয়েছে ইউএসডি সাসপেনশন, স্প্লিট সিট, মাংসল ফুয়েল ট্যাঙ্ক, বড় উইন্ড ভিসর, অল-এলইডি লাইট, নক-গার্ডসহ ইন্ডিকেটর এবং এরোডাইনামিক আন্ডার-কাওল। আন্তর্জাতিক বাজারে এটি তিনটি আকর্ষণীয় ডুয়াল-টোন কালারে পাওয়া যায়, যা রাস্তায় শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
আরো পড়ুন: পূজায় মদ-গাঁজার আসর চলবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
হোন্ডা CB200X – ইঞ্জিন ও পারফরম্যান্স
আন্তর্জাতিক স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী, বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 184.40 সিসি, বিএস-ভিআই প্রযুক্তির পিজিএম-এফআই (PGM-FI) এয়ার-কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ৪-স্ট্রোক ইঞ্জিন, যা সর্বোচ্চ 16.6 হর্সপাওয়ার উৎপাদন করতে সক্ষম ৮৫০০ RPM-এ এবং ৬০০০ RPM-এ সর্বোচ্চ 15.5 Nm টর্ক জেনারেট করে।
৫-স্পিড গিয়ারবক্স ও স্লিপার ক্লাচ যুক্ত থাকায় গিয়ার শিফটিং আরও মসৃণ। বাইকটির সর্বোচ্চ গতি ১২৫–১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Honda CB200X – বৈশিষ্ট্য ও প্রযুক্তি
- সিট উচ্চতা ও ওজন: সিট হাইট ৮১০ মিমি, গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬৭ মিমি এবং ওজন মাত্র ১৪৭ কেজি, যা সহজ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে।
- ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার: ফুয়েল লেভেল, স্পিডোমিটার, ট্যাকোমিটার, গিয়ার ইন্ডিকেটর, সার্ভিস ও ব্যাটারি ভোল্টেজ ইন্ডিকেটরসহ টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন এবং ওবিডি (OBD) সিস্টেম যুক্ত।
- ব্রেকিং সিস্টেম: সামনে ২৭৬ মিমি ডিস্ক ব্রেক, পেছনে ২২০ মিমি ডিস্ক ব্রেক এবং সিঙ্গেল-চ্যানেল এবিএস সাপোর্ট।
- সাসপেনশন: সামনে ইউএসডি ফর্ক এবং পেছনে মাল্টি-অ্যাডজাস্টেবল মোনোশক।
- টায়ার ও হুইল: সামনের টায়ার 110/70-17 এবং পেছনের 140/70-17 টিউবলেস, যা বিভিন্ন রাস্তায় ভালো পারফরম্যান্স দেয়।
- ফুয়েল ট্যাঙ্ক ও মাইলেজ: ১২ লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ট্যাঙ্কে গড়ে প্রায় ৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ পাওয়া যেতে পারে।

বাংলাদেশে আসবে কি শিগগিরই?
যদিও এখনো হোন্ডা বাংলাদেশ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে CB200X আনার কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি, তবে বাইকপ্রেমীদের আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে হর্নেট 2.0 ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, ভারত থেকে তৈরি এই মডেল ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাজারেও যুক্ত হতে পারে। সাশ্রয়ী দামে এডিভি সেগমেন্টে হোন্ডার শক্ত অবস্থান তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে এই বাইকটির মাধ্যমে।