Facebook High Security – ৫টি সেটিংস আপনার ফেসবুক রাখবে ১০০% নিরাপদ

মূলত আমাদের দোষে আমাদের ফেসবুক একাউন্টগুলো হ্যাক হয়। আপনার ফেসবুক আইডিটা যদি আপনি হাই সিকিউরিটি দিতে চান তাহলে মিনিমাম তিনটা জিমেল এবং তিনটা নাম্বার আইডিতে এড করার ট্রাই করবেন।

আপনার সচেতনতা পাঁচটা বিষয় শেয়ার করব যে যদি এই বিষয়টা আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অ্যাড থাকে। কখনো যদি আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাকও হয়ে যায় তাও আপনি এই বিষয়টার মাধ্যমে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটা রিকভারি করতে পারবেন। কিন্তু কখনো চিন্তা করে দেখছেন আপনার ফেসবুক কতটুকু সিকিউর চিন্তা করতে হবে না। এই পোস্ট দেখে মিলিয়ে নেন আমি আপনাদের সাথে পাঁচটা বিষয় শেয়ার করব।

LMC8.4 ক্যামেরা দিয়ে iPhone এর মতো ছবি তুলুন Android ফোনে

যে পাঁচটা বিষয় যদি আপনার ফেসবুকে থাকে তাহলে আপনার ফেসবুক একাউন্টে হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিকিউর থাকবে। তবে এর ভিতর থেকে ৪ নাম্বার যে বিষয়টা বলব এটা ৯০% ফেসবুক আইডিতে অ্যাড করা নাই। যদি বিষয়টা আপনার ফেসবুক একাউন্টে অ্যাড থাকে কখনো যদি আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে তাহলে আপনি এই বিষয়টার মাধ্যমে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটা রিকভারি করতে পারবেন।

১. স্ট্রং পাসওয়ার্ড

আপনার ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ডটা কতটুকু স্ট্রং সেটা আপনাকে যাচাই করে দেখতে হবে। চারটা ক্যারেক্টারের ভিত্তিতে একটা পাসওয়ার্ড স্ট্রং হয়।

1. Capital Letter
2. Small Letter
3. Number
4. Special Character

আপনাদেরকে একটা ডেমো পাসওয়ার্ড দেখাই ঠিক এরকম একটা পাসওয়ার্ড আপনি তৈরি করবেন
Abdu78la*khan46@#gg&

যদি অলরেডি তৈরি করে থাকেন তাহলে আপনি বাকিদের থেকে এগিয়ে আছেন। বাট যদি এখনো তৈরি করে না থাকেন তাহলে এখনই আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ডটা আপনি স্ট্রং পাসওয়ার্ডটা রূপান্তরিত করুন।

নরমালি আমরা দেখি অনেকেই ফেসবুকের পাসওয়ার্ড ভুলে যান। যার কারণে সহজ একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে দেন তবে এই সহজ পাসওয়ার্ডটা দেওয়ার ফলেই আপনি কিন্তু হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিজের আইডি সেভ রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটা স্ট্রং পাসওয়ার্ড দিতে হবে।

২.ফেসবুক আইডিতে একাধিক নাম্বার ও একাধিক জিমেল এড করতে হবে

আপনারা নরমালি অনেকে কি করে একটা নাম্বার দিয়ে ফেসবুক আইডি টা ব্যবহার করি অথবা একটা জিমেল দিয়ে ফেসবুক আইডিটা ব্যবহার করি। এটা কখনোই করবেন না মিনিমাম তিনটা জিমেল এবং তিনটা নাম্বার আইডিতে এড করার ট্রাই করবেন। যদি আপনার ফেসবুক একাউন্ট আপনি হাই সিকিউরিটি দিতে চান।

৩. ফেসবুক আইডিতে টু-ফ্যাক্টর অপশন অন করতে হবে

আমরা অনেকেই দেখা যায় যে টু ফ্যাক্টর কোড আসে না এই জন্য টু ফ্যাক্টর টোটালি অফ করে দেই। এটা কখনোই করবেন না আপনার ফেসবুক আইডিটা যদি আপনি হাই সিকিউরিটি দিতে চান তাহলে টু ফ্যাক্টরটা মাস্ট জরুরী। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ফেসবুক আইডিতে টু ফ্যাক্টরটা অন করে নিবেন। অনেক সময় দেখা যায় যে আপনার নাম্বার দিয়ে টুফ্যাক্টটা অন করলেই নাম্বার ১ কোডও যায় না।

সেক্ষেত্রে আপনি Authenticator অ্যাপ দিয়ে টু ফ্যাক্টর অন করবেন। কারণ বর্তমান সময়ে Authenticator অ্যাপ জিমেইলয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ যদি আপনি কোন কারনে Authenticator অ্যাপটা ডিলিটও করে দেন যেই জিমেল দিয়ে আপনি Authenticator অ্যাপটা ওপেন করবেন ওই জিমেইলটা লগইন দিলেই কিন্তু আপনি Authenticator অ্যাপে আপনার ফেসবুকের টু ফ্যাক্টের কোর্টটা পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে যে টু-ফ্যাক্টের জন্য তো সমস্যায় আপনাকে ভুগতে হবে না।

৪. ফেসবুকের সাথে মেটা এড করতে হবে

ফেসবুকের সাথে মেটা এড করতে হবে যেটা আমরা অনেকেই জানিনা। মানে যারা আমরা পার্সোনাল ফেসবুক আইডি ব্যবহার করি তারা কিন্তু মেটা সম্পর্কে জানেই না। তাই অবশ্যই আপনি ফেসবুকের সাথে মেটা এড করবেন এবং ওই মেটার একাউন্ট দিয়েই কিন্তু আপনার ফেসবুক আইডি আপনি রিকভারি করতে পারবেন। যদি বিদেশি কোনো হ্যাকার আপনার একাউন্ট ফিশিং লিঙ্ক এর মাধ্যমে হ্যাক করে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি মেটা দিয়ে কিন্তু ব্যাক করতে পারবেন। কিভাবে ব্যাক করবেন সেই বিষয়টা আমি আপনাকে বলে দিব।

কিভাবে ফেসবুকের সাথে মেয়েটা এড করতে হয় ওকে?

এজন্য আপনার একাউন্টে যেকোন একটা ব্রাউজারে আপনাকে লগইন দিতে হবে। আপনি প্রথমে meta.com লিখে সার্চ দিবেন। তাহলে মেটার যে সাইটটি সেটি ওপেন হয়ে যাবে। দেন ডানপাশে আপনি এখানে একটা ম্যান আইকন পাবেন বা প্রোফাইল আইকন পাবেন এখানে ক্লিক করে দিবেন। এখানে ক্লিক করে দেওয়ার পর দেখুন ” Sign up or log into Meta Account” এখানে ক্লিক করে দিবেনG

ওকে এখানে ক্লিক করে দেওয়ার পর দেখুন এখানে তিনটা অপশন আছে তো আপনি যে কাজটা করবেন Continue with Facebook অপশনে ক্লিক করে ফেসবুক দিয়ে সরাসরি মেটা অ্যাকাউন্টটা ওপেন করবেন।

৫. নিজে সচেতন

আপনার অ্যাকাউন্টটা সচরাচর কেউ হ্যাক করতে পারবে না। মূলত আমাদের দোষে আমাদের ফেসবুক একাউন্টগুলো হ্যাক হয়। যেমন ধরুন একটা ফিসিং লিংকে ক্লিক করলে বা একটা ম্যালোয়ার যুক্ত সফটওয়্যার আমাদের ফোনে অথবা কম্পিউটার ল্যাপটপ ইন্সটল করলে তখনই কিন্তু ফিশিং লিঙ্কের মাধ্যমে অথবা ওই সফটওয়্যারগুলোর মাধ্যমে আমাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট গুলো হ্যাক হয়।

সেক্ষেত্রে আমরা যদি সচেতন থাকি অর্থাৎ আপনি যদি সচেতন থাকেন কখনো কোন ফিশিং লিঙ্কে ক্লিক দিবেন না। অথবা কেউ যদি আপনাকে কোনো লোভনীয় অফার দেয় সেই অফারের কোনো লিংক থাকে সে লিংকে কখনোই ক্লিক করবেন না। পাশাপাশি অনেকেই আমরা দেখি যে ভিডিও কলে অথবা স্ক্রিনশটের আইডির ইনফরমেশন দেখান। এটা কখনোই দেখাবেন না এটা দেখালেই কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাবে।

সেক্ষেত্রে আপনি যদি সচেতন থাকেন এবং যে চারটা বিষয় দেখিয়েছি সেই চারটা বিষয়ে যদি আপনার ফেসবুকে আপনি অ্যাড করে রাখেন তাহলে হানড্রেড পারসেন্ট আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আপনি সেফে চালাতে পারবে।

Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *