BYD এর YangWang U9 Xtreme ইলেকট্রিক হাইপারকার বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। প্রায় ২,৯৫৯ বিহপি ক্ষমতাসম্পন্ন এই গাড়ি ৭ মিনিটের নিচে নুরবুরগ্রিং (Nürburgring) সার্কিট সম্পন্ন করে নতুন ইতিহাস গড়েছে। ২০.৮৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বিখ্যাত জার্মান রেস ট্র্যাকে সময় লেগেছে মাত্র ৬ মিনিট ৫৯.১৫৭ সেকেন্ড, যা এখন পর্যন্ত কোনো ইলেকট্রিক প্রোডাকশন কারের জন্য রেকর্ড।
নুরবুরগ্রিং সার্কিটে BYD YangWang U9 Xtreme এর অভাবনীয় কীর্তি
এই অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি গড়েছেন পেশাদার রেসার মরিটজ ক্রানজ, ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে। GT রেসিংয়ে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ক্রানজ BYD’র ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন গাড়ির পারফরম্যান্স সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়ার জন্য। নুরবুরগ্রিং ট্র্যাকের দ্রুত গতির সোজা রাস্তা, তীক্ষ্ণ বাঁক ও উচ্চতার ওঠানামা — সবকিছু সামলে U9 Xtreme দেখিয়েছে নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ ও শক্তি।
এই রেকর্ডের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ এক বছরের প্রস্তুতি। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ছিল একাধিক সিমুলেশন, ট্র্যাক টেস্ট ও টেকনিক্যাল পরিমার্জন। এর ফলেই তৈরি হয়েছে এমন এক ইলেকট্রিক হাইপারকার, যা রেস ট্র্যাকের প্রতিটি বাঁক জয় করতে সক্ষম।
২,৯৫৯ বিহপি শক্তির ইলেকট্রিক বিস্ময়

BYD YangWang U9 Xtreme-এ রয়েছে চারটি শক্তিশালী ইলেকট্রিক মোটর, যা সম্মিলিতভাবে উৎপন্ন করে প্রায় ২,৯৫৯ বিহপি শক্তি। ১,২০০ ভোল্টের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে মুহূর্তে শক্তি সরবরাহ ও ধারাবাহিক গতিবৃদ্ধি। এছাড়া এর অ্যাডাপটিভ সাসপেনশন সিস্টেম ট্র্যাকের অবস্থা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সামঞ্জস্য হয়, ফলে প্রতিটি বাঁকে থাকে সম্পূর্ণ স্থিতিশীলতা।
আরো পড়ুন: কলকাতায় আজকের সোনার দাম – ২৪ অক্টোবর ২০২৫
২০২৫ সালের শুরুর দিকে একই গাড়ি জার্মান টেস্ট ট্র্যাকে ঘণ্টায় ৪৯৬.২২ কিলোমিটার গতিও ছুঁয়েছিল—যা এটিকে বিশ্বের দ্রুততম ইলেকট্রিক প্রোডাকশন গাড়িগুলোর একটিতে পরিণত করেছে।
সীমিত সংস্করণ, তবু ইতিহাসে অমর
BYD জানিয়েছে, YangWang U9 Xtreme-এর মাত্র ৩০টি ইউনিট উৎপাদন করা হবে। সংখ্যায় সীমিত হলেও নুরবুরগ্রিং কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী এটি প্রোডাকশন কার হিসেবেই স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে এই রেকর্ড এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছে।
BYD এর এই সাফল্য শুধু একটি কোম্পানির নয়, বরং ইলেকট্রিক হাইপারকার প্রযুক্তির এক নতুন অধ্যায়—যেখানে শক্তি, গতি ও উদ্ভাবনের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে ভবিষ্যতের পরিবহন ব্যবস্থা।

