৯ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ষান্মাসিক মূল্যায়ন প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৪

কাজ ১ ও ২ উত্তর দেখুন

কাজ ৩: প্রতিবেদন লিখি

তোমার বিদ্যালয় বা এলাকার একটি ইতিবাচক উদ্যোগ চিহ্নিত করো। ইসলামের নির্দেশনা, বিধিবিধান ও রীতিনীতি ইত্যাদির আলোকে ইতিবাচক উদ্যোগটির স্বরুপ, উদ্যোগ গ্রহণের কারণ ও ফলাফল বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন লেখো।

উত্তর কাজ ৩:

প্রতিবেদন: ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতি বছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালিত হয় যা পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেওয়া একটি মহৎ উদ্যোগ। ইসলাম ধর্মে পরিবেশের প্রতি যত্নবান হওয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

উদ্যোগের স্বরূপ

আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট দিনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচিতে ছাত্র- ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিদ্যালয়ের চারপাশে ও প্রয়োজনীয় স্থানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করা হয়।

উদ্যোগ গ্রহণের কারণ

বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমাদের বিদ্যালয়ের পরিবেশকে সবুজ ও সুন্দর করা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদেরকে বৃক্ষের উপকারিতা সম্পর্কে অবহিত করা। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পৃথিবীকে সুরক্ষিত রাখতে বলেছেন। হাদিসে উল্লেখ আছে, “যে ব্যক্তি একটি গাছ রোপণ করবে এবং যতদিন তা ফল দিবে, ততদিন তাকে এর জন্য সওয়াব দেওয়া হবে” (বুখারী ও মুসলিম)।

কল্যাণকর বিশ্লেষণ

বৃক্ষরোপণের ফলে বিদ্যালয়ের পরিবেশে শীতলতা বৃদ্ধি পায়, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য একটি মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে। গাছ থেকে পাওয়া অক্সিজেন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গাছপালা পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে সহায়ক হয় এবং আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য।

ইসলামে, আমাদেরকে শুধুমাত্র আল্লাহর সৃষ্টি হিসেবে পৃথিবীর যত্ন নেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃক্ষরোপণ আমাদের জন্য একটি সওয়াবের কাজ, কারণ এটি মানুষের জন্য উপকারী এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি একটি গাছ রোপণ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে ফলবতী করে তুলবেন এবং যতদিন তা ফল দিবে ততদিন তাকে এর জন্য সওয়াব দেওয়া হবে” (বুখারী)।

উপসংহার

আমাদের বিদ্যালয়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ যা পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং ইসলামিক নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে সহায়তা করে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে এই ধরনের মহৎ কাজে অংশগ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

কাজ ৪: ইসলামের বিধি-বিধান দৈনন্দিন জীবনে অনুশীলন করি

তুমি যে সামাজিক সমস্যা বিশ্লেষণ করেছ। (তোমার এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত, সমাধানযোগ্য সমস্যা নির্বাচন, সমাধানের পরিকল্পনা ইত্যাদি) ইসলামের বিধিবিধানের আলোকে তা সমাধান করার জন্য তোমার

দৈনন্দিন জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন প্রয়োজন তা চিহ্নিত করে কীভাবে অনুশীলন করবে তা উল্লেখ করো।

উত্তর কাজ ৪:

ছক থেকে নির্বাচিত সমস্যা: শিক্ষা

১. নির্বাচিত সমস্যা/চ্যালেঞ্জের নাম: শিক্ষা

২. সমস্যা/চ্যালেঞ্জটি সমাধানের উদ্দেশ্য:

  • সকলের জন্য শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা।
  • শিক্ষার মান উন্নত করা।
  • দক্ষ ও জ্ঞানী জনগোষ্ঠী তৈরি করা।

৩. সময় (দিন/মাস):

  • দীর্ঘমেয়াদী (৫-১০ বছর)

৪. কার কার সহায়তা প্রয়োজন:

  • সরাকার
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • শিক্ষক
  • অভিভাবক
  • সমাজের সকল স্তরের মানুষ

৫. স্ব স্ব দায়িত্ব বণ্টন:

  • সরকার:
    • শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
    • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা
    • শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন
    • শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ
    • শিক্ষা অর্জনে আর্থিক সহায়তা
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
    • মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান
    • শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা
    • সমাজের সকল স্তরের মানুষ
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
    • মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান
    • শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা
    • নিয়মিত পরীক্ষা ও মূল্যায়ন
  • শিক্ষক:
    • শিক্ষার্থীদের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ও দায়িত্বশীল হওয়া
    • পাঠদানে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার
    • শিক্ষার্থীদের মানসিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করা
  • অভিভাবক:
    • শিশুদের নিয়মিত স্কুলে পাঠানো
    • শিক্ষার প্রতি শিশুদের আগ্রহ তৈরি করা
    • শিক্ষকদের সাথে সহযোগিতা করা
  • সমাজের সকল স্তরের মানুষ
    • শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি
    • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের সহায়তা করা
    • শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকুল পরিবেশ ‍তৈরি করা

৬. ইসলামের বিধিবিধান ও নির্দেশনার চর্চা বা প্রয়োগ:

  • ইলম: ইসলামে জ্ঞান অর্জনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
  • তালিম: ইসলামে শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং সকলের জন্য শিক্ষা অর্জনকে উৎসাহিত করা হয়।
  • শিক্ষকদের সম্মান: ইসলামে শিক্ষকদের সম্মান করা এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  • সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য শিক্ষা: ইসলামে লিঙ্গ, বর্ণ বা সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে সকলের জন্য শিক্ষা অর্জনের অধিকার রয়েছে।

৭. নৈতিক ও মানবিক:

  • দারিদ্র্য্য দূরীকরণ এবং সকলের জন্য জীবনযাত্রার মান উন্নত করা একটি নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব।
  • ইসলামে মুসলিমদেরকে দরিদ্রদের সাহায্য করার এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য কাজ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
৯ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ষান্মাসিক মূল্যায়ন প্রশ্ন ২০২৪
Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *