ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ,শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশে এসেছেন।
এখানে তাঁর সফর সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে:
আমন্ত্রণ: তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছেন।
অভ্যর্থনা: সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁকে স্বাগত জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন: তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক: দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠক এবং দুই দেশের প্রতিনিধিদল পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
অন্যান্য বৈঠক: দুপুরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথেও তাঁর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ: সন্ধ্যায় তাঁর সম্মানে একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আয়োজন করা হবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ: আগামীকাল, রবিবার, তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সম্ভাব্য চুক্তি ও আলোচনার বিষয়
সফরে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বিস্তৃত ও গভীর করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে এবং তিনটি সমঝোতা স্মারক (MOU) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন : আজ শনিবার ঢাকায় পৌছালেন ভূটানে প্রধানমন্ত্রী-
সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক:
আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ।
ভুটানে বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ।
কৃষি সহযোগিতা।
আলোচনার অন্যান্য ক্ষেত্র: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, পর্যটন, সংস্কৃতি এবং শিল্পসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে।
পণ্য ট্রানজিট (পরীক্ষামূলক)
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের (ট্রানজিট) প্রথম পরীক্ষামূলক কার্যক্রম বা ‘ট্রায়াল রান’ শুরু হয়েছে।এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ভুটান চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে ভারতে প্রবেশ করে পণ্য পরিবহন করবে।

