রংপুরের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আসাদুজ্জামান আরিফ, তিনি রংপুরে বিশাল এক টিট ট্রি বাগান করেছেনে। তিনি পেশায় একজন প্রকৌশলী। তাইওয়ানে অনেকদিন চাকুরী করেছেন। বিদেশে অনেক চাহিদা থাকায় বিদেশী বন্ধুর অনুপ্রেরণায় শুরু করেন টি ট্রি চাষ। এই গাছ আমাদের দেশে এখনও আর কেউ রোপন করেনি। তার এই নতুন উদ্যোগ দেশের বাজারে অনেক বেকারত্ব দুর করতে সাহায্য করেছে।
আরিফুজ্জামানকে তার বন্ধু বলেন আমাদের তাইওয়ানে এটার অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। আমাদের এখানে ল্যান্ডকস্ট অর্থাৎ (জমি লিজ নেওয়ার খরচ) সেই খরচটা অনেক বেশি এবং লেবার খরচ অনেক বেশি। যার কারণে আমাদের এখানে একটু অসুবিধা হয়। সেই কারণে আমাকে এইি চাষের জন্য অনুপ্রেরণা দেয়, কারণ আমাদের বাংলাদেশে এই ল্যান্ডকস্ট তুলনামূল অনেক কম এবং লেবার খরচও অনেক কম। যার কারণে, আমাদের দেশ থেকে যদি সঠিকভাবে এই টি ট্রি অয়েলটি চাষ করে উৎপাদন করা যায়, তাহলে অনেক বেশি লাভবান হওয়া যাবে।
আরো পড়ুন: সন্তানের রং নিয়ে ভুল বুঝে ডিভোর্স দিয়েছেন
আদুজ্জামান বন্ধুর অনুপ্রেরণা, নিয়ে বাংলাদেশেই শুরু করতে যান টি ট্রি বাগান। কিন্তু আমাদের দেশে যেহেতু তিনিই প্রথম সেহেতু আমাদের দেশে অন্য কোথাও টিটরি চারা বা বীজ পাওয়া যায় না। যার কারণে তাকে বিদেশ থেকেই এই চারা আনতে হবে। তখন তিনি চেষ্টা করেন বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট, থেকে চারা কেনার কিন্তু চারা আনার জন্য অনেক বেশি ঝামেলা পোহাতে হবে। সেই কারণে, তিনি চারা না এনে এই চারার বীজ নিয়ে আসেন প্রথমে। সেগুলোর মাধ্যমে প্রথমে কয়েকটি চারা উৎপাদন করেন। তারপরে সেখান থেকে কলম, তৈরি করে করে এখন তার বাগানে দুই হাজার টি ট্রি অয়েল গাছ করতে সক্ষম হয়েছেন।
একেকটি টি ট্রি গাছ থেকে পাঁচ কেজি পাতা পাওয়া যায়। ১৫০ কেজি পাতা থেকে তিনি ৫০০ গ্রাম টি ট্রি এসেলসিয়াল অয়েল এবং টি ট্রি হাইড্রোসল অয়েল পায় ১৮-২০ লিটার। তার বাগানে এখন প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন মানুষ কাজ করেন।
তার এই চাষ দেখে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে থাকেন। তাছাড়াও কৃষি অধিদপ্তর থেকে বলেন বাংলাদেশে এই চাষ করতে যদি কোন নতুন উদ্যোক্তা শুরু করতে চান তাহলে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নিতে পারেন।

