তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বড় একটি চক্রান্ত চলছে। তিনি বিশেষ করে বলেনযেসব শক্তি গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না, যারা জনগণের ভোটাধিকার ও স্বাধীন রাজনৈতিক সংগঠন থেকে বিরত থাকতে চায় ওরা আবার একত্র হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও একদলীয় শাসনের পথ তৈরি করছে।
তিনি যুক্ত করেন, গত একাধিক বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার সরকার হিসেবে শাসন করেছে এমনভাবে যে গণতন্ত্র নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, নির্বাচনের সুযোগ সংকুচিত হয়েছে ও বিরোধীদলীদের রাজনৈতিক গতিশীলতা বাধাগ্রস্থ হয়েছে। যদি জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হয়, তাহলে গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে এমন আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে ও ভোট-ইচ্ছার পূর্ণতা নিশ্চিত করতে হবে।তিনি উল্লেখ করেছেন যে, গত প্রায় ১৭ বছর ধরে -অবশ্য সময়সাপেক্ষভাবে-বিরোধী দল, গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা একাধিকভাবে বাধার মুখে পড়েছে।
তিনি দাবি করেছেন যে একদলীয় শাসনের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার-প্রচারিত ব্যবস্থাপনায়, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।বিশেষ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যেসব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রকে সমর্থন করে সেসবকে শিথিল বা ধ্বংস করা হয়েছে।
বিশ্লেষণ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
এই ধরনের বক্তব্য সাধারণত বিরোধীদলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে করা হয় যেখানে তারা বর্তমান শাসকদলের কর্তৃত্ব-বৃদ্ধি-সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে ধরেন।
গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে মূল প্রশ্ন হলো: নির্বাচন কি সুষ্ঠু হচ্ছে, বিরোধীদল কীভাবে অংশ নিচ্ছে, রাজনৈতিক স্বাধীনতা কি পূর্ণভাবে রক্ষিত আছে এসব বিষয় মির্জা ফখরুল বারবার নিয়ে আসছেন।
তিনি শুধু বর্তমান শাসকদলের आलोচনা করছেন না, বরং দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সতর্ক করছেচক্রান্ত চলছে এই ভাষাকে ব্যবহার করে। এটা রাজনৈতিক উত্তেজনা, প্রতিক্রিয়া ও অনিশ্চয়তার ইঙ্গিতও হতে পারে।
সাধারণ জনগণের দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভোটাধিকার, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, দল-সংগঠন-মিডিয়া স্বাধীনতা এসব গণতন্ত্রের মূল উপাদান। এই উপাদানগুলো ক্ষুন্ন হলে গণতন্ত্র কমজোর হয়।
আরো পড়ুন: ‘৩০ সেকেন্ডের ভিডিও বানাতে মিছিল’ বললেন ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সারাংশ হলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ঝুঁকিতে রয়েছে বিশেষ করে নির্বাচনের মান, রাজনৈতিক বিরোধীর অংশগ্রহণে সুযোগ, দেশের রাজনৈতিক প্লুরালিজম-এর ক্ষেত্রে।
চক্রান্ত চলছে” বলার মাধ্যমে তিনি এমন এক পরিবেশের ইঙ্গিত দিচ্ছেন যেখানে জনগণের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তিনি গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য বিরোধীদল, সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সক্রিয়তা ও একতা জরুরি বলে মনে করছেন।

