৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম একটি সাক্ষাৎকারে যৌন হয়রানীর অভিযোগ করেন। তিনি বলেন আমি যখন দলের সাথে ছিলাম আমাকে নানা ভাবে কু প্রস্তাব দিতো ম্যানেজার মঞ্জুরুল ভাই। আমি ক্রিকেট টিম ও বোর্ডের সবাইকে নিজের পরিবারের মতো দেখতাম সেই পরিবার আমার সাথে এমন করেছে।
একদিন মঞ্জুভাই প্রাক্টিসেকর সময় মাঠে এসে আমার কাধের উপর দিয়ে হাত দিয়ে আমাকে বলেন তোর পিড়িয়ডের কয় দিন চলে? আমি পরে উনাকে আবারো জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন বুজিস না তোর পিড়িয়ডের কত দিন চলে। তখন আমি বললাম ৫ দিন ভাইয়া। তখন তিনি আমাকে বলেন কি বলিস এত দিন লাগে নাকি। আমার দিকটাও তো দেখতে হবে। তোর পিড়িয়ড শেষ হলে আমাকে বলিস। আমি তোকে ডাকলে চলে আসিস।
তারপর আমি বিসিবির কাছে অনেকবার বলেছি লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু তারা তেমন জোড় দিয়ে বিষয়টি দেখেনি। আর বললেও ২ থেকে ৩ দিন ঠিক থাকতো পরে আবারো শুরু হতো। বিসিবি এই সকল বিষয় জেনেও কোন সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নেয়নি।
জাহানারা বলেন আমি সারা জীবন ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছি, সেই আমাকেই এমন পরিস্থিতিতে পরতে হবে আমি কখনও ভাবেনি।
আমার মত মানুষ আমি ১৬ বছর বাংলাদেশ ন্যাশনাল টিমকে সার্ভ করেছি। আড়াই বছর জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন্সি করেছি। ১ বছর ওয়ার্ল্ড কাপের ক্যাপ্টেন্সি করেছি। ১৩০টি ম্যাচ খেলেছি ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ। সেই আমাকেই যৌন নির্যাতিত হতে হয়েছে। তাহলে একজন সাধারণ মেয়েকে তারা কি করবে?
এই তালিকায় যুক্ত রয়েছেন যে সকল আসামি
আমি এদের কখনও ক্ষমা করবো না। তৌহিদ ভাই তো মারা গিয়েছেন আমি ওনাকে কোন দিন ক্ষমা করবো না। আমি মঞ্জু ভাকে না কোনদিন ক্ষমা করবো, আমি এমন স্যারকে কোনদিন ক্ষমা করবো না। এছাড়াও তিনি বলেন আমি জতি, পিংকি, নাহিদা, ঋতুমনিকে কোনদিন ক্ষমা করবো না। এই লিস্টে রিজিয়ো সুবাইয়া আপাকে ক্ষমা করবো না, তিনি আরো বলেন এই লিস্টে আমার ফায়েজ ভাইও আছে।

