বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রসঙ্গে ডঃ মোঃ ইউনুস কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বিশেষ করে তিনি বলেছেন নির্বাচনে পিছিয়ে পড়ার কারণ শুধু ভোট নয় বরং সুশাসন ও বিচারকারী সংস্কার। তিনি উল্লেখ করেন, এই সরকারের দায়িত্ব তিনটি সংস্কার বিচার এবং নির্বাচন এবং যদি আমরা কেবল নির্বাচন নিয়ে ভাবি তাহলে পুরোই অনিয়ম ফিরে আসবে ।
উল্লেখ্য তিনি বলেন জনগণ বলছে নির্বাচনের দরকার কী? আরো ৫-১০ বছর থাকুন এটি নির্বাচনের প্রসার কে ঘিরে সময় ও ভরসার প্রশ্ন উদযাপন করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কার শুধু ভোট আয়োজন নয় এটি একটি গভীর রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠনের বিষয়। তাঁর মতে সুশাসন, বিচারব্যবস্থা ও রাজনৈতিক ন্যায্যতা নিশ্চিত না করলে নির্বাচনের ফলাফল কতটা গণতান্ত্রিক হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ নির্বাচনের চেয়ে এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসনিক স্থিতি ও দুর্নীতি দমনকে।
নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
১। নির্বাচন নয়, সংস্কার আগে
ইউনুসের বক্তব্যের মূল মেসেজ শুধু নির্বাচন আয়োজন” করলে কিছুই বদলাবে না। তার ভাষায়,
এই সরকারের তিনটি কাজ -সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন।
তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচনের ফল জনগণের আস্থা পাবে না।
ডিকোড: তিনি সরাসরি ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, তড়িঘড়ি করে ভোট করানো নয়, বরং টেকসই গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করা দরকার।
২। জনগণের মনোভাব বদলে গেছে
তিনি বলেছেন,
মানুষ এখন বলে-নির্বাচনের দরকার কী? আরও পাঁচ–দশ বছর থাকুন।
এই কথাটি রাজনৈতিক নয়, বরং জনগণের হতাশা ও নির্ভরতার প্রতিফলন।
ডিকোড: ইউনুস বোঝাতে চাচ্ছেন, সাধারণ মানুষ রাজনীতিবিদদের প্রতি আস্থা হারিয়েছে। তারা চায় স্থিতিশীলতা, কিন্তু সেটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
৩। বিচারব্যবস্থার সংস্কারকে অগ্রাধিকার
তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশের রাজনৈতিক সংকটের মূল জায়গা ন্যায়বিচারের অভাব।
“বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা না থাকলে, জনগণ ভোটে অংশ নিতে অনাগ্রহী হবে।
ডিকোড: এটি মূলত একটি কাঠামোগত বার্তা-তিনি রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার আগে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো (বিশেষ করে বিচার বিভাগ) সংস্কারের কথা বলছেন।
৪। আন্তর্জাতিক বার্তা
ইউনুসের বক্তব্য শুধু দেশের ভেতরের নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও ইঙ্গিত দেয়।
তিনি পরোক্ষভাবে বলেছেন, বাংলাদেশে যদি সুশাসন ও স্বচ্ছতা ফিরে না আসে, তাহলে বিনিয়োগ, মানবাধিকার ও বৈশ্বিক আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ডিকোড: এটি একধরনের কূটনৈতিক ভাষায় দেওয়া চাপের বার্তা সরকারকে ইঙ্গিত, আন্তর্জাতিক চোখে গণতন্ত্রের মানদণ্ড পুনরুদ্ধার করা জরুরি।
আারো পিড়ুন : নির্বাচন ঘিরে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন-
ড. ইউনুসের বক্তব্য রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এক ধরনের রিফ্লেকশন মিরর।
তিনি বলছেন ।
“নির্বাচন যদি পুরনো পদ্ধতিতেই হয়, তাহলে ফলও পুরনোই হবে।”
অর্থাৎ, নির্বাচন নয়, মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা ও প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনই এখন অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

