Monday, October 27, 2025
Homeআগামী ২০২৬ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কি একদলীয় হতে যাচ্ছে

আগামী ২০২৬ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কি একদলীয় হতে যাচ্ছে

বাংলাদেশে আগামী ২০২৬ সালে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হবে নাকি বিগত বছর গুলোর মত একপক্ষীয় নির্বাচন হবে? বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের যে নির্বাচন হয়েছিল এক পক্ষীয়। এবারও কি সেই একপক্ষীয় নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ চলছে। রাজনীতির অঙ্গন গুলোতে এই বিশ্লেষণ বেড়েই চলেছে।

যদিও দীর্ঘদিনের আওয়ামী লীগের আমলে জামায়েত ইসলামী এবং বিএনপি ঘনিষ্ঠ বন্ধুর থেকে বর্তমানে পরস্পর বিরোধী দলে অবস্থান নিয়েছে। ছোট ছোট অনেক দলই এখন এই দুই বলয়ে বিভক্ত। তারপরেও ভোটের রাজনীতিতে এই দুই দলের দীর্ঘদিনের পরিচিতি হল মিত্রদল হিসেবেই।

বর্তমানে যে সকল দল রয়েছে তাদের মধ্যে কোন কোন দল বলছেন এখন জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না। আবার কোন কোন দল বলছেন বিচারের আগে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

আর এটি যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে আগামী নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগ বিরোধী দলগুলোকেই দেখা যাবে ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে। আওয়ামী লীগ আমলে সরকার এর পক্ষ থেকে কোন দলকে স্থগিত বা বহিষ্কৃত করে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত ছিলেন।

বর্তমানের প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম করে স্থগিত করেছে এবং এই সূত্র ধরে ইসিও আওয়ামী লীগকে জাতীয় নির্বাচন থেকে দূরে রেখেছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় দলগুলোর বিরুদ্ধে এমন কোন সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। একজন নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি সিলেটে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে জানিয়েছেন যে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম স্থগিত। স্থগিত মানে তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

আরো পড়ুন: আগামীকালের আবহাওয়া ২৮ অক্টোবর ২০২৫

তবে নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার মধ্যে কিছু থাকতে পারে এমনটি আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। প্রশ্ন উঠছে এখন যারা আওয়ামী লীগ ও সমমনা দল গুলোকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখছে তারা যদি নিজেরাই একসময় বিভিন্ন দাবি নির্বাচন থেকে বিরত থাকার আন্দোলন করে তাহলে কি হবে?

প্রসঙ্গত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারীর শুরুতেই এই নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাম্প্রতিক বিবিসি বাংলাকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন আওয়ামী লীগের জনগণ প্রার্থী হিসেবে না হলেও বড় এক অংশ ভোট দেওয়ার জন্য আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ নেবেন।

বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ বিরোধী এই দুই দলেই বিভক্ত। কিন্তু যদি আওয়ামী লীগ এবারে নির্বাচনে না আসে তাহলে বিষয়টা কেমন হবে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন ও প্রতীক বাতিল করেছেন নির্বাচন কমিশন।

পরে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল অপরাধ আইনের সংশোধনী এনে বলেছেন:

Screenshot 2025 10 27 112226

আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপি ছাড়াও মাঠ পর্যায়ের অনেক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মামলা হয়েছে গত এক বছরে। দলটির নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়ে অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন, অনেকে কারাগারে রয়েছেন এবং অনেকেই বাসা বাড়িতে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

অন্তবর্তী সরকারের সময় গঠিত দল এনসিপির সদস্য সচিব আকতার হোসেন সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বলেছেন যে আওয়ামীলীগের মতো জাতীয় পার্টিকেও আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ নিতে দেওয়া যাবে না। সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূরের গণধিকার পরিষদ দল আন্দোলন করছেন যে জাতীয় পার্টি কে এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না।

Ratan Datta
Ratan Datta
আমি রতন দত্ত "স্টার শান্ত" ওয়েবসাইটে ম্যানেজিং ও এডিটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছি। আমি খেলাধুলা, অটোমোবাইল, বিনোদন ও বিভিন্ন বিষয় লেখালেখি করি এবং আমার লক্ষ্য আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সহজে বোঝানো।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ নিউজ