প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর টিএলপিকে নিষিদ্ধ করলো পাকিস্তান। ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতা ও প্রাণহানির পর বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার ডানপন্থী এই গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্তটি অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও সহিংস আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগেই তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের আলোচনায় তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি)। বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় দলটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার। খবর রয়টার্সের।
সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়, টিএলপি’র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সহিংস বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার সর্বসম্মত অনুমোদনেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।
ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে রক্তপাত
কয়েক দিন আগেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেয় টিএলপি’র হাজারো সমর্থক। ওই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দলটির কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হন। এরপরই দেশজুড়ে টিএলপি’র কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে। বিশ্লেষকদের ধারণা, সেই সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতেই দলটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবিলায় ৫০০০ রুশ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের দাবি ভেনেজুয়েলার
সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান টিএলপি’র
নিষেধাজ্ঞাকে “অসাংবিধানিক” ও “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” আখ্যা দিয়ে সরকারের পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছে টিএলপি। দলটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ” চালিয়ে যাবে।
এর আগে ২০২১ সালেও ইমরান খানের সরকার একই কারণে টিএলপিকে নিষিদ্ধ করেছিল। তবে ছয় মাসের মধ্যেই কিছু শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

