বিএনপি চায় না ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনার মতো সমমনা প্রতিষ্ঠানের কাউকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক। দলটির অভিযোগ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, যা নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ করতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে ৩৬ দফা প্রস্তাবনা জমা দিয়ে এই দাবি তোলে দলটি।
ইসি’র কাছে বিএনপির লিখিত দাবি
বিএনপির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোটগ্রহণ কাজে সম্পৃক্ত করা যাবে না। দলটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনার মতো প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভোটের দায়িত্বে নিয়োগ দিলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করে নতুন করে দলীয় লোক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এতে নির্বাচনকালীন সময়ে পক্ষপাতিত্বের আশঙ্কা বাড়ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধিদল
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মঈন খান বলেন, “আমরা চাই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান বা তাদের কর্মীদের ভোটের দায়িত্বে রাখা হলে সেই নিরপেক্ষতা নষ্ট হবে।
আরো পড়ুন : ৬০ আসনে নির্ভার বিএনপি, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত
এ সময় তাঁর হাতে ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে করণীয় প্রস্তাবসমূহ’ শীর্ষক একটি দলিলও দেখা যায়, যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত প্রস্তাবনা সংযুক্ত ছিল।