তিউনিসিয়ার উপকূলে ইউরোপগামী অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাটি ডুবে গেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাব-সাহারান আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের নিয়ে যাওয়া নৌকাটি মাহদিয়া উপকূলের কাছে ডুবে যায়। স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নৌকাটিতে প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন ইউরোপে পৌঁছানোর আশায় সমুদ্রযাত্রায় নামা অভিবাসী।
দুর্ঘটনাটি চলতি বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ নৌদুর্ঘটনাগুলোর একটি বলে উল্লেখ করেছেন ওই কর্মকর্তা। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ইউরোপগামী অভিবাসনের প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট তিউনিসিয়া
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিউনিসিয়া উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার অন্যতম প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধ, দারিদ্র্য ও রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে পালিয়ে ভালো জীবনের খোঁজে ইউরোপে পৌঁছাতে চাওয়া হাজারো মানুষ তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে নৌপথে যাত্রা শুরু করেন।
তিউনিসিয়া থেকে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৫০ কিলোমিটার। ফলে ইউরোপে যাওয়ার প্রথম গন্তব্য হিসেবে এই দ্বীপটি দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসীদের অন্যতম লক্ষ্যবিন্দু।
প্রাণঘাতী ভূমধ্যসাগর পাড়ি
প্রতি বছর হাজার হাজার অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বিপজ্জনক সমুদ্রপথ ও প্রতিকূল আবহাওয়া তাদের যাত্রাকে প্রায়ই মৃত্যুফাঁদে পরিণত করে।
আরো পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে আহত দুই জন-ফুটবল মাঠে ছোট বিমান বিধ্বস্ত,
তিউনিসীয় মানবাধিকার সংস্থা ফোরাম ফর ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রাইটস (এফটিডিইএস) জানিয়েছে, ২০২৪ সালে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ সময় তিউনিসিয়া উপকূলে জাহাজডুবির ঘটনায় ৬০০ থেকে ৭০০ জন অভিবাসী নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন।
এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালে, নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১ হাজার ৩০০ অভিবাসী।