দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানে রয়েছেন ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত’ ব্যক্তিরা। তাঁরা আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই সনদ ২০২৫’-এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নিয়েছেন।
বেলা ১১টার দিকে দেখা যায়, অনুষ্ঠানমঞ্চের সামনে অতিথিদের জন্য সাজানো চেয়ারে বসে আছেন শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতরা। মঞ্চ ও অতিথিদের আসনের মাঝখানে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। আজ বিকেল চারটায় এখানেই জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
রাতে বিক্ষোভ, সকালে সংসদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ
বৃহস্পতিবার রাতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শহীদ পরিবার ও আহতরা। তাঁদের দাবি—শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান।
আরো পড়ুন: সেরা ১০টি স্মার্টফোন ৩০ হাজার টাকার মধ্যে (২০২৫ সালের নতুন রিলিজ)
আজ সকালে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সংসদ ভবনের ফটক টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং একপর্যায়ে দক্ষিণ প্লাজায় মঞ্চের সামনে চলে আসেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু তাঁরা অতিথিদের জন্য সাজানো চেয়ারে বসে পড়েন। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান অব্যাহত রাখেন।
দুইটি মূল দাবি
‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত’ ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁদের দুটি প্রধান দাবি রয়েছে—
১️. শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান।
২️. সুরক্ষা ও দায়মুক্তি আইন প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন।
তাঁদের দাবি, এই বিষয়গুলো ‘জুলাই সনদ ২০২৫’-এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আলোচনার আশ্বাস
বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল করিম বলেন,
“বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা যাবেন না।”
তিনি আরও জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিনিধিরা সেখানে যাচ্ছেন এবং তাঁদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের আলোচনা হবে। আলোচনার পর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।