এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। তবে দাবির তাগিদে তারা দুটি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামীকাল (১৭ অক্টোবর) দুপুর ২টার মধ্যে যদি সরকার বাড়িভাড়া ও অন্যান্য দাবির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না করে, শিক্ষকরা আমরণ অনশন শুরু করবেন। এছাড়া ১৯ অক্টোবর থেকে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করা হবে। আন্দোলনরত শিক্ষকদের এই পদক্ষেপ শিক্ষাখাতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ও সরকারের প্রতিক্রিয়া
শিক্ষক নেতারা বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় শহীদ মিনারে এ দুই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি বলেন, “আন্দোলন চলবে যতক্ষণ দাবি পূরণ হবে না। প্রজ্ঞাপন না এলে ‘মার্চ টু যমুনা’ শুরু করা হবে।” শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে আলোচনায় ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতার দাবি উত্থাপিত হয়। সরকারের প্রাথমিক সুপারিশে বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরো পড়ুন : এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৫ প্রকাশ: ঢাকা বোর্ডের ফলাফল দেখবেন যেভাবে
শিক্ষকদের অবস্থান ও দেশের শিক্ষাখাতে প্রভাব
এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা টানা পঞ্চম দিন শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে আন্দোলন চলার পাশাপাশি দেশের সব এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি চলছে। শিক্ষকদের দাবির মধ্যে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা অন্তর্ভুক্ত। এই কর্মসূচি শিক্ষা খাতের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সরকারি ও শিক্ষকদের মধ্যে সমাধানের চাপ বাড়াচ্ছে।