গোলাম পরওয়ার বলেন, “যারা ভোট চুরি করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, তারাই জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের ষড়যন্ত্র করছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো, সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ব্যালট দখল করে গণভোটে ‘না’ প্রস্তাবে সিল মারা।”
তিনি আরও বলেন,জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি না দিলে সেটা নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার শামিল হবে। জনগণকে আর ফ্যাসিবাদী শাসনের দিকে ঠেলে দেওয়া যাবে না।
পিআর পদ্ধতিতে ঐকমত্যের আহ্বান
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত থাকলেও আলোচনা ও গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব।
জাতীয় সংসদে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, নির্বাচনের আগেই তেমন আলোচনার মধ্য দিয়ে পিআর পদ্ধতির বাস্তবায়ন সম্ভব,-বলেন তিনি। তাঁর মতে, এই পদ্ধতি কার্যকর হলে মনোনয়ন বাণিজ্য, ভোটকেন্দ্র দখল ও পেশিশক্তির ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে সংস্কারে ছাড় দিয়েছে জামায়াত
গোলাম পরওয়ার দাবি করেন, জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে জামায়াত ইতোমধ্যে সংস্কারে ছাড় দিয়েছে। তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্বপ্নপূরণ করতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই। মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য জনগণের রায়কে সম্মান জানাতে হবে।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, জামায়াতের দেওয়া ৫ দফা দাবি বিবেচনায় নিয়ে আলোচনার পথ উন্মুক্ত করতে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় ডিজিটাল রূপান্তরের নতুন পদক্ষেপ-অনলাইন জামিননামা
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন
এ সময় বক্তব্য দেন খুলনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা কর্মপরিষদের সদস্য আবু ইউসুফ মোল্লা, উপজেলা আমির মোক্তার হোসেন, নায়েবে আমির হাবিবুর রহমান, গাজী সাইফুল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আবদুর রশিদ, সহকারী সেক্রেটারি ফরহাদ আল মাহমুদসহ স্থানীয় নেতারা।
ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রসাদ মণ্ডলও উপস্থিত ছিলেন।