এমবাপ্পে অবশেষে মুখ খুললেন ২০২২ সালের সেই স্মরণীয় বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে। তিন বছর পরও তাঁর স্মৃতি রয়ে গেছে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে হারানো স্বপ্নে। ফ্রান্সের হয়ে হ্যাটট্রিক করেও জেতা হয়নি ম্যাচ, আর এখন এমবাপ্পে বলছেন ওইদিন আর্জেন্টিনার জয়ই প্রাপ্য ছিল।” মেসির প্রশংসা করে তিনি বলেন, তাঁর পাশে খেলার অভিজ্ঞতা তাঁকে বদলে দিয়েছে এক পরিণত ফুটবলার হিসেবে।
এমবাপ্পের স্বীকারোক্তি: আর্জেন্টিনাই ভালো খেলেছিল”
২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল যেখানে ১২০ মিনিট শেষে ৩-৩ সমতায় গিয়েছিল লড়াই, আর টাইব্রেকারে জয় পায় আর্জেন্টিনা। অনেকের চোখে ভাগ্যের খেলা, কিন্তু এমবাপ্পে মনে করেন, সেটি ছিল আর্জেন্টিনার প্রাপ্য জয়।
‘ইউনিভারসো ভালদানো’ অনুষ্ঠানে সাবেক আর্জেন্টাইন ফুটবলার জর্জ ভালদানোর সঙ্গে দীর্ঘ আলাপে এমবাপ্পে বলেন,
“ওটা ছিল এক পাগলাটে ম্যাচ। ফাইনালে আপনি গোল করার কথা ভাবেন না, ভাবেন জেতার কথা। কিন্তু সেদিন আর্জেন্টিনা ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত খেলেছিল, তাদের জয় প্রাপ্যই ছিল।
ফাইনালে এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকেও শেষ রক্ষা হয়নি। তিনি বলেন, আমরা কিছু সময় ভালো খেলেছি, কিন্তু পুরো ম্যাচের বিচার করলে ওদের জয়ই সঠিক ফল। এটা কষ্টের, তবে ভুলে যাওয়া যাবে না। কারণ, ২০২৬ বিশ্বকাপে আমরা আবার ফিরতে চাই আরও শক্তভাবে।
রোনালদো আদর্শ, মেসির পাশে শেখার অভিজ্ঞতা
আলোচনায় উঠে আসে এমবাপ্পের ফুটবল অনুপ্রেরণাও। পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে তিনি বলেছেন নিজের আদর্শ,
“রোনালদো আমার জন্য এক অনুকরণীয় উদাহরণ। তিনি আমাকে পরামর্শ দেন, সাহায্য করেন। আমার কাছে তিনি সব সময় এক নম্বর।”
রোনালদোর সঙ্গে খেলা না হলেও, মেসির সঙ্গে তাঁর দুটি মৌসুম কেটেছে পিএসজিতে। এমবাপ্পে বলেন,
আরো পড়ুন:আর্জেন্টিনার কাছে ২-০ গোলে হার, মেক্সিকোর বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ!”
“মেসির পাশে খেলা ছিল এক বিশেষ সৌভাগ্য। আমি কখনো ভাবিনি, তাঁর সঙ্গে একসঙ্গে মাঠে নামব। তিনি অবিশ্বাস্যভাবে বিনয়ী একজন কিংবদন্তি হয়েও সবার প্রতি সম্মান দেখান। তাঁর পাশে থাকা আমাকে খেলোয়াড় হিসেবে বদলে দিয়েছে।”
শেষে ফরাসি তারকা যোগ করেন, ওটা ছিল দুইটা অসাধারণ বছর। মেসির কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, তিনি আমার ক্যারিয়ারের এক সুবর্ণ অধ্যায়।