দীর্ঘ দিন পর যেন নতুন দিনের সূর্যোদয় দেখল ব্রাজিলের ফুটবল। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ৫–০ গোলের জয় এনে দিয়েছে তরুণ ত্রয়ী ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো ও এস্তেভাও। শুধু গোলের উৎসবই নয়, কৌশল, ছন্দ ও নান্দনিকতার মেলবন্ধনে আজকের ব্রাজিল দেখিয়েছে এক অনন্য ফুটবল শিল্প। ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির পথে এই ম্যাচ যেন তাদের আত্মবিশ্বাসের এক নতুন অধ্যায় খুলে দিল।
ব্রাজিলের ফুটবলে নতুন দিনের সূচনা
সিউলের ওয়ার্ল্ডকাপ স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। বল দখল, আক্রমণ, পাসিং সব ক্ষেত্রেই ছিল তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। শুরুতে কয়েকটি সুযোগ নষ্ট হলেও ১৩ মিনিটের মাথায় ব্রুনো গিমারেসের পাস থেকে গোল করেন চেলসির তরুণ প্রতিভা এস্তেভাও। নিখুঁত পাসিং ও ফিনিশিংয়ে সেই গোল যেন ব্রাজিলীয় ফুটবলের সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি।
ভিনি–রদ্রিগোদের তাণ্ডব
প্রথম গোলের পরই আক্রমণে আরও ক্ষুরধার হয়ে ওঠে সেলেসাওরা। ৪০ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের পাসে দ্বিতীয় গোল করেন রদ্রিগো। বিরতির পরও থামেনি ব্রাজিলের গোল উৎসব-৪৭ মিনিটে এস্তেভাও করেন নিজের দ্বিতীয় গোল, এরপর ভিনিসিয়ুসের সহায়তায় রদ্রিগো করেন চতুর্থ গোল। ৭৭ মিনিটে প্রতি–আক্রমণ থেকে ভিনিসিয়ুস নিজেই গোল করে দলের পঞ্চম ও শেষ গোলটি নিশ্চিত করেন।
এক নতুন যুগের বার্তা
সেপ্টেম্বরে বলিভিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক পরাজয়ের পর ব্রাজিল নিয়ে উঠেছিল নানান প্রশ্ন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এই পারফরম্যান্স যেন সেই অন্ধকার কাটিয়ে আশার আলো দেখাল। আনচেলত্তির তত্ত্বাবধানে গড়া নতুন প্রজন্মের ব্রাজিল আজ প্রমাণ করেছে তারা শুধু নামেই নয়, পারফরম্যান্সেও ‘সেলেসাও’।
আরো পড়ুন:দিল্লিতে জয়সোয়ালের ব্যাটে রানের ফুলঝুরি
পরের লড়াই জাপানের বিপক্ষে
আন্তর্জাতিক বিরতির পর ব্রাজিলের পরবর্তী প্রীতি ম্যাচ ১৪ অক্টোবর, প্রতিপক্ষ জাপান। আজকের জয় নিশ্চয়ই সেই ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে পুরো দলকে। সমর্থকরা এখনই হয়তো ক্যালেন্ডারে দাগ টেনে রেখেছেন কখন আবার মাঠে নামবে এই ঝলমলে ব্রাজিল!