বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচেই বড় অঘটন। আবাহনী বনাম রহমতগঞ্জ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্রয়ে থামল মারুফুল হকের দল। ম্যাচের ৩৯ মিনিটেই রহমতগঞ্জ নেমে যায় ১০ জনে, তবুও ছয়বারের লিগজয়ী আবাহনী তাদের গোলমুখ খুলতে পারেনি। নতুন মৌসুমের শুরুতেই শক্তিশালী আক্রমণভাগ থাকা সত্ত্বেও ব্যর্থ হলো দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটি।
আবাহনীর গোল খরা ও রহমতগঞ্জের দৃঢ়তা
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আবাহনীর সমর্থকেরা এসেছিলেন জয়ের প্রত্যাশায়। কিন্তু সুলেমান দিয়াবাতে, শেখ মোরছালিন ও আল আমিনদের একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন রহমতগঞ্জ গোলকিপার মামুন আলিফ। রক্ষণে নেপালের অভিষেক লিম্বু আর অধিনায়ক সলোমন কিং দলকে নেতৃত্ব দেন অসাধারণভাবে।
লাল কার্ডেও ঘুরে দাঁড়াল রহমতগঞ্জ
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে মিডফিল্ডার আরাফাত হোসেন সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে অনেকেই ভেবেছিলেন, এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা আবাহনীর গোলের। কিন্তু ১০ জন নিয়েও রহমতগঞ্জ ঘুরে দাঁড়ায়। শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত তাদের লড়াকু মানসিকতাই থামিয়ে দেয় আবাহনীকে।
নতুন মৌসুমে আবাহনীর হতাশা
আবাহনীর জার্সিতে প্রথমবার নামলেন গত মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় দিয়াবাতে। একাধিকবার সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন মালির এই ফরোয়ার্ড। নতুন অধিনায়ক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে দল বেশ কিছু আক্রমণ সাজালেও জয়ের হাসি হাসতে পারেনি। কোচ মারুফুল হকের মুখেও ফুটে উঠল হতাশা।
আরো পড়ুন : সাইফের ব্যাট থেকে এসেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভরসার রান।
দিনের অন্য ম্যাচ
মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পায়নি কোনো দল। আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ৫৯ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইয়াইয়া জনের গোলে এগিয়ে যায়। তবে যোগ করা সময়ে ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাবকে নাটকীয় সমতা এনে দেন মিশরের মিডফিল্ডার মোস্তফা কাহরাবা। ম্যাচ শেষ হয় ১–১ ড্রয়ে।