আত্মত্যাগী বাংলাদেশ হয়তো ট্রফি হাতে তুলতে পারছে না, তবে এশিয়া কাপের ফাইনালে তাদের অবদান অমোচনীয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘অলিখিত সেমিফাইনালে’ ১১ রানে হারলেও আসলে ভারত-পাকিস্তানের ঐতিহাসিক ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দলই। ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে ধারাভাষ্যকার সবার মুখে তাই এক নাম, বাংলাদেশ। মাঠে না থেকেও ফাইনালের গল্পে তাদের ছায়া থেকে যাবে, কারণ এই ম্যাচটাই ইতিহাস লিখে দিয়েছে ভিন্নভাবে।
নিউজ বডি
আত্মত্যাগী বাংলাদেশ
এশিয়া কাপের ফাইনাল নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বহু বছরের স্বপ্ন এবার পূরণ হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের অপেক্ষা যেমন ক্রিকেটপ্রেমীরা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছিলেন, তেমনি সম্প্রচারক থেকে শুরু করে বাজিকররাও চেয়েছিলেন এমনই এক মঞ্চ। সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে রূপ দিয়েছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ থেমেছে ১২৪ রানে। ফলাফল—মাত্র ১১ রানে হার। তবে এই হারের মধ্যেই লুকিয়ে আছে কৌশল ও ‘আত্মত্যাগ’। ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ছক্কা মারার প্রবণতা যেমন নজর কেড়েছে, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ডট বল খেলাও ফাইনালের পথ প্রশস্ত করেছে পাকিস্তানের জন্য।
আরো পড়ুন : ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ নির্ধারণের লড়াইয়ে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
পাকিস্তানের সাবেক তারকা শোয়েব আখতার ম্যাচ শেষে হাসতে হাসতে বলেন, “বাংলাদেশ সাথ দিয়া হামকো।” তাঁর এই মন্তব্যই যেন প্রমাণ করে দেয়, ফাইনালে না থেকেও বাংলাদেশ আসলে থাকবে মাঠে কথোপকথনে, বিশ্লেষণে এবং দর্শকদের মনে।
এশিয়া কাপের সূচি দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের সম্ভাবনা তৈরির জন্য সাজানো হলেও, ভাগ্য কখনো সায় দেয়নি। এবার সেই ভাগ্যের সহায়ক হয়েছে বাংলাদেশ দল। বিশ্লেষকেরা তাই বলছেন জেতা ম্যাচ হারিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ আসলে ক্রিকেট বিশ্বের বৃহৎ স্বার্থই রক্ষা করেছে।