বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অসাধারণ এক ইনিংস খেলে সমালোচনা ভুলিয়ে দিয়েছেন। ব্যাট হাতে তাঁর ৫৮ রানের ঝলক দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররাও। তবে হৃদয়ের কাছে এ ইনিংস শুধুই রান নয়, বরং জীবনের কঠিন সময় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রমাণ।
হৃদয়ের ইনিংস দেখে খ্যাতনামা ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে লিখেছেন, “হৃদয় কতটা ভালো, সে সম্পর্কে শুনেছি। তবে আজ তিনি তাঁর ক্লাস দেখালেন।” ভারতের সাবেক ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া মনে করেন, ধীর গতির উইকেটে কাভার অঞ্চলে ধারাবাহিক রান তোলা ছিল হৃদয়ের ইনিংসের সবচেয়ে বড় শক্তি।
২৫ বছর বয়সী তাওহিদ হৃদয় দীর্ঘদিন ধরে রান খরায় ভুগছিলেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা ১৫ ইনিংসে তিনি ফিফটি পাননি। এর বাইরে গত এপ্রিলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আম্পায়ারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের ঘটনায় সমালোচনায় পড়েন তিনি। একই সঙ্গে মায়ের ক্যানসার সংক্রান্ত দুশ্চিন্তাও তাঁকে ভীষণ চাপের মধ্যে ফেলেছিল।
আরো পড়ুন: তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে বাংলাদেশের জয়, ছুঁলেন হাজার রানের মাইলফলক।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফটি করার পর হৃদয় নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে। তিনি লিখেছেন, “চেষ্টা সব সময় থাকে, তবে ভাগ্য ও রিজিক হয়তো একরকম থাকে না। বাংলাদেশের জন্য খেলি, নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে মাঠে লড়াই করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সব ভালো-মন্দের জন্য আল্লাহপাকের কাছে শুকরিয়া।”
দলের জয়ে বড় অবদান
বাংলাদেশের ইনিংসে যখন ৬০ রানে লিটন দাস আউট হন, তখন সাইফ হাসানের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে চাপমুক্ত করেন হৃদয়। সাইফ ৬১ রান করে আউট হওয়ার পর তিনিই দলের হাল ধরেন। শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ৫৮ রান করে সাজঘরে ফেরার সময় বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ১০ রান। তাঁর ইনিংস শুধু দলের জয় নিশ্চিত করেনি, বরং নিজের আত্মবিশ্বাসও ফিরিয়ে দিয়েছে।
হৃদয়ের ইনিংসে কাভার অঞ্চলে খেলার দক্ষতাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন আকাশ চোপড়া। তিনি বলেন, “ধীরগতির উইকেটে কাভার অঞ্চলে রান করা কঠিন। কিন্তু হৃদয় সেখান দিয়ে ২১ রান করেছে। এটা সত্যিই ব্যতিক্রমী।”