নিজস্ব প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জ: দীর্ঘ ৯ বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শিল্পপতি শরীফুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম।
উৎসবমুখর সম্মেলন
শনিবার দুপুরে শহরের পুরোনো স্টেডিয়ামে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধন করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সকাল থেকেই শহরে ছিল উৎসবের আমেজ। ঢাকঢোল বাজিয়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা–কর্মীরা সম্মেলনে যোগ দেন।
ভোটগ্রহণ ও ফলাফল
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। দিবাগত রাত ৩টার পর ঘোষণা করা হয় ফলাফল।
- সভাপতি পদে শরীফুল আলম (আনারস প্রতীক) পান ১,৫২২ ভোট, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সহসভাপতি রুহুল হোসাইন (ছাতা প্রতীক) পান ১৯৭ ভোট।
- সাধারণ সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম (রিকশা প্রতীক) পান ১,১৫৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল (বল প্রতীক) পান ৬১১ ভোট।
- অন্য প্রার্থীদের মধ্যে শফিকুল আলম রাজন (মাছ প্রতীক) পান ৩০ ভোট, আইনজীবী সাজ্জাদুল হক (গোলাপফুল প্রতীক) পান ৭ ভোট।
মোট ২,০৯০ কাউন্সিলরের মধ্যে ভোট দেন ১,৮৪০ জন।
অতীত ও প্রেক্ষাপট
২০১৬ সালে সর্বশেষ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও সেসময় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়নি। পরে কেন্দ্র থেকে শরীফুল আলমকে সভাপতি ও মাজহারুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই তিন বছরের কমিটি দিয়েই ৯ বছর পার হয়।
প্রতিক্রিয়া
ভোট গণনার সময় সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল তিনটি ব্যালট বাক্স সরানোর অভিযোগ তুললেও পরে ফলাফল মেনে নেন। নির্বাচিত হওয়ার পর সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, “কাউন্সিলররা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন। আমি কৃতজ্ঞ।” আর সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম দলের নেতা–কর্মীদের সহযোগিতা চান দায়িত্ব পালনে।
আরো পড়ুন: রোমান্সের নতুন ওয়েব সিরিজ: রুটিন জীবনে টানাপোড়েনের গল্প
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান, আমিনুল ইসলাম ও মো. শরীফুল ইসলামসহ সাতজন।