ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় নতুন প্রজন্মকে (জেনারেশন জেড) কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোনো কাজে ব্যর্থ হলেও জেন-জিদের হতাশ হওয়া উচিত নয়। বরং নতুন উদ্যমে পরের কাজের প্রতি মনোযোগী হতে হবে।
ছেলের চোখে জেন-জিদের বোঝেন শ্রাবন্তী
কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী জানান, তার ছেলে ঝিনুকও এই প্রজন্মের মানুষ। তাই তিনি সহজেই তাদের ভাবনা-চিন্তা বুঝতে পারেন। লিঙ্গসাম্য থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের সক্রিয়তা—সবকিছু নিয়েই তিনি ছেলেকে কাছ থেকে দেখেন।
আরো পড়ুন: সাইবার ৭১-এর ফেসবুক পেজ হ্যাক করে নাম দিয়েছে সুইপার-৭১
দশ বছর পর এবারের দুর্গাপূজায় মুক্তি পাচ্ছে শ্রাবন্তীর নতুন সিনেমা ‘দেবী চৌধুরাণী’। ভারত-যুক্তরাজ্য সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন মূল চরিত্রে। ভবানী পাঠকের ভূমিকায় আছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া নিশি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় এবং সাগরের ভূমিকায় দর্শনা বণিক।
ব্যক্তিজীবন নিয়ে খোলামেলা অভিনেত্রী
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহুবার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন শ্রাবন্তী। তবে এখন আর সেসবকে গুরুত্ব দেন না। তিনি বলেন, “ছোট বয়সে মা হওয়ার কিছু সুবিধা আছে। ঝিনুক হওয়ার পাঁচ বছর পরই আমি আবার কাজে ফিরি, তখন আমার বয়স মাত্র ২১।”
তবে এও স্বীকার করেছেন যে, ১৬ বছর বয়সে মা হওয়াটা অনেকটাই অস্বাভাবিক ও বাড়াবাড়ি ছিল।
মা-ছেলের চেয়ে বেশি বন্ধুত্ব
শ্রাবন্তী জানিয়েছেন, ঝিনুকের সঙ্গে তার সম্পর্কটা শুধু মা-ছেলের নয়, বরং বন্ধুর মতো। মাত্র ১৬ বছরের বয়সের ব্যবধান হওয়ায় তাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া গড়ে উঠেছে।
তার ভাষায়, “ছেলের বন্ধুরা তো আমারই বন্ধু। দু-একজন ছাড়া কেউ আমাকে আন্টি বলে না, সবাই দিদি বলেই ডাকে।”
শ্রাবন্তী বলেন, অভিনয়ের আগে তিনি প্রায়ই ছেলের সঙ্গে চিত্রনাট্য নিয়ে আলোচনা করেন। এমনকি ‘দেবী চৌধুরাণী’র গল্পটিও প্রথমে ঝিনুককেই শোনান তিনি। এতে ছেলে বেশ অবাক হয়েছিল।