বলিউডের একসময়কার শীর্ষ নায়িকা মালা সিনহার জীবন কেবল সিনেমার গল্পের মতো নয়। একদিকে ‘পিয়াসা’ থেকে ‘ধুল কা ফুল’—চলচ্চিত্রে রোমাঞ্চকর সফলতা, অন্যদিকে করদপ্তরের কালোটাকা কেলেঙ্কারিতে ধ্বংস, এবং আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া যে তিনি যৌনকর্মীর আয় থেকেও অর্থ উপার্জন করেছিলেন—এই ঘটনা রাতারাতি তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছিল।
১. বলিউডে অভিষেক এবং উজ্জ্বলতা
১৯৫৪ সালে ‘বাদশাহ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে প্রবেশ করেছিলেন মালা সিনহা। পরের কয়েক দশক ধরে তিনি ‘গুমরাহ’, ‘আঁখে’, ‘ধুল কা ফুল’সহ ১২০টির বেশি সিনেমায় প্রধান নায়িকা হিসেবে নজর কেড়েছেন। গুরু দত্ত, মনোজ কুমার, অমিতাভ বচ্চন—সকলের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং পুরুষ সহকর্মীদের সমান পারিশ্রমিক পাওয়া ছিল তার বিশাল কৃতিত্ব।
২. কালোটাকার কেলেঙ্কারি
১৯৭৮ সালে আয়কর দপ্তর মালার বাড়িতে হানা দিয়ে ১২ লাখ রুপি বাজেয়াপ্ত করে। এই ঘটনা মালাকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়। পরে আদালতে তাকে স্বীকার করতে হয় যে তিনি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি অন্য উপায়েও অর্থ উপার্জন করেছেন। এ স্বীকারোক্তি তার ক্যারিয়ারের জন্য চরম প্রভাব ফেলে।
৩. আদালতের চাপ এবং স্বীকারোক্তি
মালা সিনহা আদালতে স্বীকার করেন যে তিনি যৌনকর্মীর আয় থেকেও অর্থ উপার্জন করেছেন। যদিও এটি আইনগতভাবে তাদের শাস্তি এড়াতে একটি পদ্ধতি ছিল, ফলাফল হলো তার সামাজিক ও পেশাদার জীবন অচল হয়ে যায়। পরিচালক এবং প্রযোজকেরা তার সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকার করেন, বড় প্রস্তাব হাতছাড়া হয়।
আরো পড়ুন: কিংবদন্তি নায়ক আলমগীরের নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ সতর্ক করলেন আঁখি
৪. নেপাল সংযোগ
মালা সিনহার নাম সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকির সঙ্গে তার অতীত সংযোগের কারণে। ১৯৭৩ সালে মালা সিনহা একটি বিমান ছিনতাইয়ের সময় বিমানে ছিলেন। সেই সময় নেপালের রাজনৈতিক সশস্ত্র আন্দোলনের জন্য অর্থ জোগাড়ের উদ্দেশ্যে বিমানটি ছিনতাই করা হয়।
৫. রাতারাতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু
নেপালের এই ঘটনার পর মালা সিনহার জীবন আর আগের মতো হয়নি। এই দুটি ইতিহাস—কালোটাকার কেলেঙ্কারি এবং নেপাল বিমান ছিনতাই—তার জীবন ও ক্যারিয়ারের গল্পকে আরও জটিল এবং বিতর্কিত করে তুলেছে।