২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সহায়তা কর্মসূচি শিক্ষক ও গবেষকদের জন্য নতুন এক সুযোগ। ১১টি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাক্ষেত্রে আবেদন করা যাবে। প্রাথমিকভাবে প্রজেক্ট কনসেপ্ট নোট জমা দিতে হবে, যার মাধ্যমে মৌলিক ও ফলিত গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মানসম্পন্ন প্রকাশনা, গবেষণা অভিজ্ঞতা ও সেমিনারে অংশগ্রহণের ভিত্তিতেই সফল আবেদনকারীদের নির্বাচিত করা হবে। আগ্রহী গবেষকরা ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এটি শিক্ষাক্ষেত্রে গবেষণার মান উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা খাতে উচ্চতর গবেষণাসহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য গবেষণা প্রস্তাব আহ্বান করেছে। দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক ও গবেষকরা আবেদন করতে পারবেন। মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোট ১১টি গবেষণাক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো: শিক্ষা, কৃষি, জীবন–সম্পর্কিত বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), মৎস্য, ব্যবসায় শিক্ষা, বাংলাদেশ উন্নয়ন অধ্যয়ন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, এবং উন্নয়ন ও জননীতি।
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষক, গবেষক ও সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আবেদন করতে পারবেন। গবেষণাসহায়তা পাওয়ার শর্ত হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রজেক্ট কনসেপ্ট নোট (পিসিএন) জমা দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌলিক ও ফলিত গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মানসম্পন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশনা, গবেষণা অভিজ্ঞতা, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনা, চলমান গবেষণার মান ও অবকাঠামো সন্তোষজনক থাকা এবং পূর্ববর্তী সাফল্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন: এনআরবিসি ব্যাংকে চাকরির সুযোগ, আবেদন করা যাবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
আগ্রহী গবেষকরা আগামীকাল রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ওয়েবসাইটের গবেষণা মেনু থেকে পিসিএন ফরম পূরণ ও জমা দিতে পারবেন। সমস্ত তথ্য পূরণ না হলে আবেদন বাতিল হবে। যারা পূর্বে আবেদন করেছেন, তাদেরও নতুন করে আবেদন করতে হবে।