ভারতের গাড়ির বাজারে আগামী ছয় মাসে মিডসাইজ এসইউভি সেগমেন্টে যুক্ত হতে যাচ্ছে চারটি নতুন মডেল। মারুতি সুজুকি, মাহিন্দ্রা এবং টাটা মোটরস—দেশের শীর্ষ তিন নির্মাতা একের পর এক নতুন গাড়ি নিয়ে আসছে। এর মধ্যে থাকছে হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক উভয় প্রযুক্তির মডেল, যা প্রতিযোগিতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
মারুতি সুজুকি ভিক্টোরিস (Maruti Suzuki Victoris)

মারুতি সুজুকি তাদের সম্পূর্ণ নতুন মিডসাইজ এসইউভি ভিক্টোরিস উন্মোচন করেছে। শিগগিরই গাড়িটি শোরুমে পাওয়া যাবে। এর দাম এক্স-শোরুম ভিত্তিতে ১০ লাখ থেকে ১৮ লাখ রুপির মধ্যে থাকার কথা। ভিক্টোরিসে থাকছে দুটি পেট্রোল-হাইব্রিড ইঞ্জিন—১.৫ লিটার মাইল্ড হাইব্রিড ও ১.৫ লিটার স্ট্রং হাইব্রিড। আধুনিক ফিচারের মধ্যে থাকছে লেভেল-২ এডিএএস, জেসচার-কন্ট্রোলড পাওয়ারড টেইলগেট, ফ্রন্ট ভেন্টিলেটেড সিট ও ডুয়াল প্যানোরামিক সানরুফ।
মারুতি সুজুকি ই-ভিটারারা (Maruti Suzuki e Vitara)

সুজুকির গুজরাট কারখানায় ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য উৎপাদন শুরু হয়েছে ই-ভিটারারার। খুব শিগগিরই এটি ভারতের বাজারেও আসছে। মিডসাইজ বৈদ্যুতিক এসইউভি হিসেবে এটি পাওয়া যাবে দুটি ব্যাটারি বিকল্পে, যার প্রত্যাশিত রেঞ্জ ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি। ভেতরে থাকছে প্রিমিয়াম মানের ফিচারসমৃদ্ধ কেবিন।
আরো পড়ুন: ভারতের জন্য নতুন ইলেকট্রিক গাড়ি আনছে স্কোডা, এপিক নয়!
মাহিন্দ্রা এক্সইউভি ৭০০ ফেসলিফট (Mahindra XUV700 Facelift)

জনপ্রিয় এসইউভি মাহিন্দ্রা এক্সইউভি৭০০-এর ফেসলিফট ভার্সন বাজারে আসতে পারে ২০২৬ সালের শুরুতে। এ সংস্করণে বাহ্যিক নকশায় পরিবর্তন আনা হলেও ভেতরের অংশে বড় ধরনের আপডেট আসছে—যেখানে নতুন ডিজাইনের পাশাপাশি যুক্ত হবে অতিরিক্ত ফিচার। তবে ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন থাকছে না।
টাটা সিয়েরা ইভি (New Tata Sierra EV)

টাটা মোটরস তাদের ঐতিহ্যবাহী নাম সিয়েরাকে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছে বৈদ্যুতিক রূপে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই সিয়েরা ইভি বাজারে আসবে। দুটি ব্যাটারি অপশনসহ এটি প্রতি চার্জে ৫০০ কিলোমিটারের বেশি রেঞ্জ দেবে বলে দাবি করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে সিয়েরার আইসিই (ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন) সংস্করণও বাজারে আসবে।
আগামী ছয় মাসে ভারতের মিডসাইজ এসইউভি বাজারে ক্রেতাদের সামনে থাকবে একাধিক নতুন বিকল্প। হাইব্রিড ও ইভি প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এসব মডেল প্রতিযোগিতায় গতি আনবে এবং ক্রেতাদের জন্য নিয়ে আসবে আরও বৈচিত্র্যময় পছন্দ।