ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজয়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, বহু বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তিনি। তার মতে, এটিই গণতান্ত্রিক চর্চার প্রকৃত রীতি।
তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘ সময় পর নির্বাচন হওয়ায় কিছু অনিয়ম ও ত্রুটি চোখে পড়েছে। তবে যাত্রার সূচনা হওয়াটাই ইতিবাচক দিক বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাম্প্রতিক নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল বিজয়ী হয়েছে এমন খবরে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। সালাহউদ্দিন বলেন, তার জানা মতে ইসলামী ছাত্রশিবির ডাকসু নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ নেয়নি। তাই তাদের নামে বা ব্যানারে কোনো প্যানেল ছিল কি না, সেটি প্রশ্নসাপেক্ষ।
ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, অতীতে ডাকসুর ভিপি ও জিএস পদে যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন, অনেকেই পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। কেউ সংসদ সদস্য হয়েছেন, কেউ রাজনৈতিক সংগ্রামে সক্রিয় আছেন। তিনি সবার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করেন।
এ সময় রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তার মতে, ফ্যাসিবাদ, ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতন্ত্র বা সংসদীয় একনায়কতন্ত্র এড়াতে হলে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু করতে হবে। তিনি মনে করেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে, মতবিরোধও থাকবে, তবে শেষ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সবাই একে অপরকে অভিনন্দন জানাবে এটাই হবে সঠিক রাজনৈতিক পথ।