ফরিদপুরের আসন পুনর্বিন্যাস ঘিরে উত্তেজনা নতুন মাত্রা নিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বিক্ষুব্ধ জনতা একযোগে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে দিলে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ রাজধানীর সঙ্গে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এ অবরোধ চালানো হয়। এতে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আসন বিন্যাস পরিবর্তনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে সরিয়ে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা এ আন্দোলনে নামেন।
সকাল পৌনে আটটার দিকে ভাঙ্গার মাধবপুর স্ট্যান্ড এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। এর ফলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে। একই সময়ে আলগী ইউনিয়নের মনসুরাবাদ এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কও অবরোধ করা হয়। এতে দুই মহাসড়কেই শত শত গাড়ি আটকে যায়, যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এ অবরোধের কারণে। কয়েকটি স্থানে একইভাবে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা আটকে রাখা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
আরো দেখুন: রক্ত ঝরার পর সরে দাঁড়াল নেপাল সরকার, ফিরল ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম
আসন পুনর্বিন্যাসের গেজেট বাতিলের দাবিতে এর আগে গত শুক্রবারও দুই দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন এলাকাবাসী। উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে তারা অবরোধ স্থগিত করেছিলেন। তবে তিন দিনের আল্টিমেটাম শেষ হওয়ায় আজ আবারও তারা রাস্তায় নামেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, “স্থানীয়দের বোঝাতে উপজেলা প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে।” পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।