শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ, তবে সঠিক পরিকল্পনা থাকলে লাভের সুযোগ বাড়ে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার আগে কোন কোম্পানির শেয়ার কেনা উচিত এবং কোনটি নয়—সে সিদ্ধান্ত নিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক খেয়াল করলেই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়। এই গাইডলাইনে ঠিক সেই পাঁচটি কৌশল তুলে ধরা হলো, যা আপনাকে ভেবে-চিন্তে পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ৫টি কৌশল
১) কোম্পানির সুনাম ও সুশাসন যাচাই করুন
কোম্পানিটি নিয়ম-নীতি মেনে চলে কি না, মালিকানা কাঠামো স্বচ্ছ কি না এবং পেশাদার ব্যবস্থাপনা আছে কি না—এসব দেখুন। আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠিত নিরীক্ষক দিয়ে হয়েছে কি না তাও গুরুত্বের সঙ্গে যাচাই করুন; মানসম্মত অডিট হলে আর্থিক রিপোর্টে আস্থা বাড়ে।
২) শেয়ারের দাম যুক্তিসঙ্গত কি না বুঝুন
কোনো শেয়ারের দাম বেশি নাকি কম—তা মাপতে প্রাইস টু আর্নিং (পিই) রেশিও কাজে লাগাতে পারেন। তবে এক প্রান্তিকের ফল দেখে সিদ্ধান্ত নয়; অন্তত ৩–৫ বছরের আয় ও এনএভি (নেট অ্যাসেট ভ্যালু) দেখে নিন।
৩) আয় প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা দেখুন
লাভের আশাতেই শেয়ার কেনা হয়। তাই কোম্পানির ভবিষ্যৎ আয় বাড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নিয়মিতভাবে প্রায় ১৫–২০ শতাংশ হারে আয় বাড়াতে পারে, তার শেয়ারের দাম বাড়াও যৌক্তিক হতে পারে। এক বছরের বেশি মুনাফা দেখে বিভ্রান্ত না হয়ে টেকসই আয়েই ভরসা রাখুন।
আরো পড়ুন: রহস্য ঘেরা সিনেমা ‘পরীমনি’ – ঢাকাই নায়িকা নন, অন্য এক গল্প!
৪) লভ্যাংশ ও মূলধনি মুনাফা দু’দিকই ভাবুন
কোম্পানির লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা কেমন—তা খতিয়ে দেখুন। পাশাপাশি দাম বাড়লে মূলধনি মুনাফার সুযোগও থাকে—দুটিই মূল্যায়নে রাখুন।
৫) ব্যবসার টেকসই ভবিষ্যৎ মূল্যায়ন করুন
প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কোম্পানির অবস্থান, দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকার ক্ষমতা এবং সম্প্রসারণের সম্ভাবনা আছে কি না—এসব যাচাই করুন। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ মানেই ধৈর্য; দ্রুত লাভের আশায় অস্থির হলে ঝুঁকি বাড়ে।
শেষকথা—কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করার নীতিই শেয়ারবাজারের মূল কথা। তাই যাচাই-বাছাই করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় এগোন, তবেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আরও ফলপ্রসূ হতে পারে।