কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায় পৌঁছানোয় আবারও বাঁধের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে, যা স্থানীয়দের জন্য নতুন করে দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানির উচ্চতা ১০৮.৬৪ এমএসএল ছুঁই ছুঁই অবস্থায় থাকায় আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জুরাছড়ি, লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে জরুরি ত্রাণ ও সহায়তার দাবি উঠছে। পানি আরও বাড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিউজ প্রতিবেদন: কাপ্তাই হ্রদে পানির মাত্রা আবারো বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থায় পৌঁছেছে। এ কারণে বুধবার দুপুরে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট প্রতিটি ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় পানির চাপ আরও বাড়লে গেট খুলে ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হবে, আর পানি কমে এলে ধাপে ধাপে আবার বন্ধ করে দেয়া হবে।
কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলেই হ্রদের পানি দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে পানির লেভেল দাঁড়িয়েছে ১০৮.৬৪ এমএসএল, যেখানে ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০৯ এমএসএল।
এদিকে হ্রদে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে জুরাছড়ি, লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম পানিবন্দি হয়ে আছে। এতে স্থানীয় মানুষের জনজীবন কঠিন হয়ে উঠেছে।
আরো পড়ুন: কক্সবাজারে বাঁকখালী নদী উচ্ছেদে বাধা: আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে এর আগে ৪ আগস্ট মধ্যরাত থেকে টানা সাত দিন পানি ছাড়া হয়েছিল। এরপর ২০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় বাঁধের সব জলকপাট খোলা হয়। তবে ২৩ আগস্ট পানি কমে আসায় গেটগুলো আবার বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক উজানের ঢলে আবারও সব কপাট খোলার সিদ্ধান্ত নিতে হলো কর্তৃপক্ষকে।