গত ৫০ বছরে ভারতের জন্ম ও মৃত্যুহার উভয়ই অর্ধেকে নেমে এসেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার ছিল ৩৬.৯, যা ২০২৩ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১৮.৪-এ। একই সময়ে মৃত্যুহারও ১৪.৯ থেকে নেমে এসেছে ৬.৪-এ। এ পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, দেশটি এখন এক নতুন জনসংখ্যাগত বাস্তবতায় প্রবেশ করেছে।
জন্মহার হ্রাসে বড় পরিবর্তন
গত এক দশকেই জন্মহার কমার প্রবণতা আরও স্পষ্ট হয়েছে। ২০১৩ সালে যেখানে প্রতি হাজারে জন্মহার ছিল ২১.৪, সেখানে ২০২৩ সালে তা দাঁড়িয়েছে ১৮.৪-এ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নগরায়ণ, পরিবার পরিকল্পনার বিস্তার ও নারীশিক্ষার উন্নতি এ পরিবর্তনের প্রধান কারণ।
শহর-গ্রামের বৈষম্য
শহরে জন্মহার ১৪.৯ হলেও গ্রামীণ এলাকায় তা ২০.৩। আবার রাজ্যভেদেও বড় পার্থক্য রয়েছে।
- বিহারে সর্বোচ্চ জন্মহার: ২৫.৮
- আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সর্বনিম্ন জন্মহার: ১০.১
আরো পড়ুন: ইয়ামাহা নিয়ে এলো নতুন রঙে ঝলমলে R15 সিরিজ – দেখুন দাম ও ফিচার
মৃত্যুহারেও ভিন্নতা
শহরাঞ্চলে মৃত্যুহার বর্তমানে ৫.৭, আর গ্রামে ৬.৮।
- ছত্তিশগড়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুহার: ৮.৩
- চণ্ডীগড়ে সর্বনিম্ন মৃত্যুহার: ৪.০
ইতিবাচক দিক
মৃত্যুহার কমে যাওয়া মানে মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে, চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং রোগব্যাধি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। স্বাস্থ্য খাতে অগ্রগতি ও সামাজিক উন্নয়নই এ পরিবর্তনের বড় চালিকা শক্তি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।