ঢাকা, ২৮ আগস্ট – সরকারি চাকরিতে প্রকৌশলীদের কোটা বাস্তবায়নের দাবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দেশের সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ শাটডাউন ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, জনদূর্ভোগ এড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালানো হবে।
আন্দোলনের পটভূমি
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগে এক সমাবেশে আন্দোলনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ এবং বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের এই শাটডাউনের ঘোষণা দেন। এর আগে রাত সোয়া ১০টার দিকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন এবং পুলিশি হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি ও পুলিশের ঘটনার নিন্দা
ওয়ালিউল্লাহ বলেন, “আমাদের তিন দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছি। গত দুই দিন সারা দেশে সড়ক অবরোধ করেছি, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেই। পুলিশের হামলায় ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আমরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানাই। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
আরো পড়ুন:
বরিশালের আবাসিক হোটেল থেকে টিকটকার মাহিয়া মাহি আটক
অহ্বায়ক মেহেদী হাসান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ও ছাত্রনেতার অবস্থান দেখে আমরা বিস্মিত। তারা প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সচেতন নন।”
বৈঠক ও আগামী কর্মসূচি
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের ১১ সদস্য প্রতিনিধি দল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে বৈঠকে কোনও অগ্রগতি হয়নি। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকালে আবারও সরকারের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
দ্রষ্টব্য: এখানে প্রকাশিত তথ্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের এবং সরকারি সূত্রের উপর ভিত্তি করে। আন্দোলন ও ক্লাসের বিষয়ে সর্বশেষ আপডেটের জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণাপত্র লক্ষ্য করা জরুরি।