দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩১ বিলিয়ন ডলারের ওপর অতিক্রম করেছে। প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ সহায়তার কারণে এই উত্থান ঘটেছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) দিন শেষে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১.৩৩ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী দেশে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬.৩১ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু)-তে ২০২ কোটি ডলার পরিশোধের পর গ্রস রিজার্ভ কমে ২৯.৫৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। বিপিএম–৬ অনুযায়ী সেই সময় রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৪.৫৬ বিলিয়ন ডলারে।
গত ২৪ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০.৮৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম–৬ অনুযায়ী ২৫.৮৭ বিলিয়ন ডলার।
ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ
মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এতে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাব এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ হিসাব করা হয়।
আরো পড়ুন:
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে চাকরির সুযোগ: ৩৪ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
সূত্র জানায়, দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এটি ব্যবহার করলে প্রায় সাড়ে তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব।
প্রসঙ্গত, একটি দেশের ন্যূনতম রিজার্ভের পরিমাণ হওয়া উচিত তিন মাসের আমদানি খরচের সমান। এই রিজার্ভের অবস্থা দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক সংকেত দেয়।
দ্রষ্টব্য: এখানে প্রকাশিত তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। চূড়ান্ত পরিসংখ্যান এবং সিদ্ধান্তের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক তথ্যসূত্র দেখাই উত্তম।