গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর অভিযোগ করেছেন, কিছু ব্যক্তি যোগসাজশে মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ও তার ছেলে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, এটি জনকণ্ঠ দখলের মতোই সুপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।
নুরুল হক নুর বলেন, “এতোদিন তারা নগদ ৫ কোটি বা শেয়ার লিখে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সমঝোতায় মিলেনি। পরে ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল মবের মাধ্যমে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে।”
মামলা ও রাজনৈতিক ইঙ্গিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুর প্রশ্ন তুলেছেন, “তৌহিদ আফ্রিদি বা তার বাবা কি সত্যিই যাত্রাবাড়ীর ‘ছাত্র হত্যা’ মামলায় আসামি? যদি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকত, তবে নির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা দেওয়া যেত। কিন্তু কেন ভিত্তিহীনভাবে হঠাৎ এক বছর পর গ্রেপ্তার?” তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের এই ধরনের বিবেচনাহীন সিদ্ধান্ত প্রকারান্তরে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যায় মামলা বাণিজ্যকে উৎসাহিত করছে।

বিদেশি ও দেশি মানবাধিকার নজরদারি
নুরুল হক নুর জানান, এ ধরনের ঘটনা দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থার নজরেও আসে। ফলে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রকৃত অপরাধীর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপে পিছপা হতে বাধ্য হয়। তিনি সতর্ক করে বলেন, “এভাবে ভুল পদক্ষেপ ফ্যাসিবাদের ফেরার রাস্তা তৈরি করতে পারে।”
আরো পড়ুন: সারজিসের শ্বশুর বিচারক বিষয় নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন
গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের তথ্য
গত ২৪ আগস্ট বরিশাল থেকে সিআইডি তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার (২৬ আগস্ট) আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি আন্দোলন দমনে লাইভ প্রচারে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন এবং সরকারপন্থী শক্তিকে সহায়তা করেন।
এ মামলায় নিহতের বাবা গত বছরের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সহ ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তৌহিদ আফ্রিদি ছিলেন ১১ নম্বর, তার বাবা নাসির উদ্দিন সাথী ছিলেন ২২ নম্বর আসামি। ১৭ আগস্ট গুলশান থেকে নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।