টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার তিন মাস পর মানসিক ও শারীরিক চাপের কথাই সামনে আনলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ পাঁচ দিনের লড়াই কেবল শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও ভীষণ ক্লান্তিকর, আর সেটিই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
টেস্ট ক্রিকেটের মানসিক চাপ নিয়ে রোহিত
মুম্বাইয়ে সিইএটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রোহিত শর্মা নিজের টেস্ট ক্যারিয়ার নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ দিন টিকে থাকতে হয়। মানসিকভাবে এটি খুবই কঠিন এবং ক্লান্তিকর।”
৬৭ টেস্টে ৪৩০১ রান করা এই ব্যাটার মনে করেন, ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট তাঁকে দীর্ঘ ফরম্যাটের জন্য প্রস্তুত করেছিল। ক্লাব ক্রিকেট থেকে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে খেলা মানসিক দৃঢ়তা তৈরি করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতির ১০ ম্যাচ
প্রস্তুতির গুরুত্ব তুলে ধরলেন অধিনায়ক
৩৮ বছর বয়সী রোহিত জানান, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তিনি প্রস্তুতির গুরুত্ব বুঝতেন না। তবে সময়ের সঙ্গে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও কোচদের কাছ থেকে শিখে বুঝতে পারেন যে সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্য সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, “ম্যাচ চলাকালীন কোনো প্রস্তুতি নেওয়া যায় না। সবকিছুই আগে করতে হয়, যেন চাপে পড়লেও সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন।”
মানসিক সতেজতা ও মনোযোগই আসল চাবিকাঠি
রোহিতের মতে, দীর্ঘ সময় মনোযোগ ধরে রাখার জন্য মানসিক সতেজতা অত্যন্ত জরুরি। উচ্চ পর্যায়ের পারফরম্যান্সের জন্য স্পষ্ট মানসিকতা এবং প্রস্তুতি অপরিহার্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানো সময়
২০১৯ সালে ওপেনার হিসেবে সুযোগ পাওয়ার পরই রোহিতের টেস্ট ক্যারিয়ারে বড় পরিবর্তন আসে। ঘরের মাঠে তিনি হয়ে ওঠেন অন্যতম সেরা ওপেনার। অবসরের আগে তিনি ভারতকে সব ফরম্যাটে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সর্বশেষ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন।
রোহিত বলেন, “খেলাধুলা হোক বা জীবন—সবকিছুর ভিত্তি হলো প্রস্তুতি।”