মেঘনার পূর্বপাড়ে পাঁচশো একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে অবস্থিত আশুগঞ্জ সার কারখানা উৎপাদন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নতুন আশার সঞ্চার করছে।
বর্তমান উৎপাদন পরিস্থিতি
কারখানাটি চালু হওয়ার প্রথম দিকে দিনে ষোলশো টন সার উৎপাদন করতে পারলেও বর্তমানে উৎপাদন কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে এগারোশো টনে। উৎপাদিত ক্রিলড ইউরিয়া সার কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হলেও, উৎপাদনশীলতা বিসিআইসির নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।
প্রধান সমস্যাসমূহ
- যান্ত্রিক ত্রুটি: ঘনঘন যন্ত্রপাতির সমস্যা উৎপাদন ব্যাহত করছে।
- গ্যাস সরবরাহের অভাব: বছরের অধিকাংশ সময় গ্যাস না থাকার কারণে কারখানাটি বন্ধ থাকে।
- আমদানি নির্ভরতা: স্থানীয় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে না পারায় কৃষকদের জন্য আমদানির উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে।

পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা
- নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন ও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ পেলে কারখানাটি পুনরায় লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে।
- উৎপাদন সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে গ্যাস সংযোগ পুনরায় পাওয়া যাবে।
- প্রতিদিনের উৎপাদন বজায় রাখতে প্রয়োজন ৬০০ পিএসআই চাপে ৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
আরো পড়ুন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ: সুনানীর দ্বিতীয় দিন চলছে
অর্থনৈতিক গুরুত্ব
- কারখানার পুনঃপ্রতিষ্ঠা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
- আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে, সরকারি সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে।
- নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজনের জন্য আনুমানিক ২০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
উৎপাদন সচল রাখার জন্য প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্টরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন এবং আশা করা হচ্ছে, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে আশুগঞ্জ সারকারখানা পুনরায় স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরবে।