ব্যাংকিং সেক্টরে সমস্যা সমাধান এবং পুনর্গঠন নিয়ে ব্যারিস্টার এ মাসুম ভার্চুয়ালি আলোচনা করেন। তিনি মূলত তুলে ধরেন, কীভাবে দুর্বল ব্যাংকগুলোর ডিপোজিট ও সেক্টরাল আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায়।
২৭০০০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ
গত কয়েকদিন আগে বিভিন্ন ব্যাংকে ২৭০০০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছিল, কিন্তু অনেক ব্যাংক এখনও পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ব্যারিস্টারের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কিছু ব্যাংকে অফিসিয়াল দুর্বলতা ও লুটপাটের কারণে অর্থ ব্যবস্থাপনায় সমস্যা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ
- দুর্বল ব্যাংকগুলোকে মার্জার ও পুনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
- নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ডিপোজিটরদের টাকা নিরাপদ রাখা হবে এবং বড় ডিপোজিটারদেরও পর্যায়ক্রমে অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
- ব্যাংকের ডাইরেক্টর নিয়োগ ও স্বাধীন নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে যাতে কোনো ধরনের ম্যানিপুলেশন বা অসঙ্গতি না ঘটে।
- সিকিউরিটি ও রেগুলেশন আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়া গাজার পাশে দাঁড়াল, ঘোষণা ২৩.৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তা
গ্রাহক ও অর্থনৈতিক প্রভাব
ব্যারিস্টার এ মাসুম বলেন, যদি ব্যাংকিং সেক্টরে আস্থা হারানো হয়, তবে অনেক টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে চলে যেতে পারে। এজন্য বর্তমান পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেল পুনরায় শক্তিশালী করা হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ রণনীতি
- ব্যাংকগুলোকে ধাপে ধাপে পুনর্গঠন করা হবে।
- রেগুলার মনিটরিং এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টরদের মাধ্যমে নিয়মিত নিরীক্ষণ করা হবে।
- দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল ও উন্নত হবে, যাতে ব্যাংকিং সেক্টর ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
এই আলোচনায় ব্যারিস্টার এ মাসুম ব্যাংকিং সেক্টরের পুনর্গঠন, গ্রাহক সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করেন।