বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে রোববার সকাল থেকে জেলাজুড়ে সড়ক অবরোধ ও হরতাল চলছে। এতে জেলার ভেতর এবং বাইরের সব সড়ক যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
সকাল আটটা থেকে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া, কাটাখালি, কুদির বটতলা, মোল্লাহাট সেতু, বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজার, খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ফয়লা ও মোংলা বাসস্ট্যান্ডসহ অন্তত ১০টি স্থানে গাড়ি ও বেঞ্চ ফেলে অবরোধ শুরু করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।

অবরোধের কারণে বাগেরহাটের সঙ্গে খুলনা, সাতক্ষীরা, ঢাকা, বরিশালসহ অন্যান্য জেলার সড়ক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাক অনুযায়ী জেলার সব দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে।
বাগেরহাট সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্যসচিব ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, “বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে আমরা গত ৩০ জুলাই তিনটি আসনের প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকে আন্দোলন চালাচ্ছি। কখনো সংবাদ সম্মেলন, কখনো রাস্তায় অবরোধ, কখনো নির্বাচন অফিসে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করেছি। তবুও নির্বাচন কমিশন তাদের প্রস্তাব থেকে সরে আসেনি।”
আরো পড়ুন:
বুয়েটে চাকরির নিয়োগ: সহকারী ইন্ট্রুমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে ৩৫,৬০০ টাকার বেতন
তিনি আরও বলেন, “আজ জেলাজুড়ে অবরোধ ও হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে। জেলার সর্বস্তরের জনগণ আমাদের দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কোনো দোকানপাট বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়নি। মোংলা বন্দর এলাকার বেশির ভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ। আশা করি, নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবি মেনে নেবে। নাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি বাগেরহাট জেলার চারটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দিলে জেলার রাজনৈতিক দলগুলো একযোগে প্রতিবাদ শুরু করে। আসন কমানো বা বহাল রাখার বিষয়ে ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।