যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) একটি নতুন ‘ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট’ সই করেছে, যা দুই পক্ষের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রথম ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) এক যৌথ বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
বৈশ্বিক বাণিজ্যে নতুন সমঝোতা
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ চুক্তি ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত করা হবে, যাতে অতিরিক্ত খাত যুক্ত হয় এবং বাজার প্রবেশাধিকার উন্নত করা যায়। এর মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে আরও গভীর করার লক্ষ্যে কাজ করা হবে।
মার্কিন শুল্ক নীতি
চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। এতে ফার্মাসিউটিক্যালস ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে ইউরোপ থেকে আমদানি করা গাড়ির ওপর বর্তমানে চালু থাকা ২৭.৫ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকবে। ভবিষ্যতে কংগ্রেস আইন পাস করলে বিভিন্ন মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

ইইউর প্রতিশ্রুতি
অন্যদিকে, ইইউ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা সামুদ্রিক খাবার ও কম সংবেদনশীল কৃষিপণ্যের জন্য বিশেষ বাজার সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—বাদাম, কিছু দুগ্ধজাত পণ্য, তাজা ও প্রক্রিয়াজাত ফল-সবজি, প্রসেসড ফুড, বীজ, সয়াবিন তেল, শূকরের মাংস ও বাইসন মাংস। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে ইইউ।
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
এই সমঝোতা এমন সময়ে এল, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠকের ওপর জোর দিচ্ছেন। যদিও তিনি ইউক্রেনে মার্কিন স্থল সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করেছেন, তবে আকাশপথে সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছেন।
আরো পড়ুন:
এই সপ্তাহান্তে দেখা যাবে কালো চাঁদ, কিন্তু চোখে পড়বে না
এদিকে, ওয়াশিংটন ডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে শিগগিরই আরও শত শত ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করা হবে। রিপাবলিকান শাসিত অঙ্গরাজ্যগুলোও অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা রাজধানীতে ফেডারেল নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপকে সমর্থন দেবে।