Thursday, August 21, 2025
HomeSuzuki GSX-R150: বাংলাদেশে কেনার আগে যা জানা দরকার

Suzuki GSX-R150: বাংলাদেশে কেনার আগে যা জানা দরকার

আপনি যদি বাইক প্রেমী হন এবং স্পোর্টস বাইকের খোঁজে থাকেন, তাহলে Suzuki GSX-R150 আপনার জন্য এক চমৎকার বিকল্প হতে পারে। এই বাইকটি শুধু চোখে সুন্দর লাগে না, বরং পারফরম্যান্স, শক্তি ও নিরাপত্তার দিক থেকেও এটি দারুণ। আসুন বিস্তারিত জানি কেন Suzuki GSX-R150 বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

Suzuki GSX-R150 বাংলাদেশে দাম কত?

Suzuki GSX-R150 বাংলাদেশে পাওয়া যায় Tk ৫,২৪,৯৫০ মূল্যে। এটি Rancon Motorbikes Limited-এর মাধ্যমে বিক্রি হয় এবং দেশের বিভিন্ন শোরুমে সহজলভ্য। এই বাইকটি মূলত জাপানি ব্র্যান্ড Suzuki-এর, ভারতের কারখানায় তৈরি ও বাংলাদেশের জন্য অ্যাসেম্বল করা হয়েছে।

Suzuki gsx r150 বাংলাদেশে কেনার আগে যা জানা দরকার 2
Suzuki GSX-R150 ছবি: ইন্টারন্টে

ইঞ্জিন ও পারফরম্যান্স

GSX-R150 এ আছে ১৫০ সিসি, DOHC, লিকুইড কুল্ড, সিঙ্গল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ পাওয়ার ১৮.৯ বিএইচপি @ ১০৫০০ আরপিএম এবং সর্বোচ্চ টর্ক ১৪ এনএম @ ৯০০০ আরপিএম।

এরকম শক্তিশালী ইঞ্জিনের কারণে শহরে এই বাইকের গড় মাইলেজ প্রায় ৩৫ কিমি/লিটার এবং হাইওয়েতে প্রায় ৪০ কিমি/লিটার। সর্বোচ্চ গতি প্রায় ১৪০ কিমি/ঘণ্টা।

আরো পড়ুন:

হিরো মোটরসাইকেল এখন ইবিএল ক্রেডিট কার্ডে ২৪ মাস ০% ইন্টারেস্টে ক্রয়যোগ্য

চ্যাসিস, সাসপেনশন ও ব্রেক

GSX-R150-এ ডায়মন্ড ফ্রেম চ্যাসিস ব্যবহার করা হয়েছে। সামনের দিকে টেলিস্কোপিক, কোল স্প্রিং ও অয়েল ডাম্পড সাসপেনশন এবং পেছনে লিঙ্ক টাইপ, কোল স্প্রিং ও অয়েল ডাম্পড সাসপেনশন রয়েছে।

ব্রেকিং সিস্টেম ডুয়াল চ্যানেল ABS সমৃদ্ধ, যা নিরাপদভাবে থামতে সাহায্য করে। সামনের ডিস্ক ব্রেকের ব্যাস ২৯০ মিমি এবং পেছনের ডিস্ক ব্রেকের ব্যাস ১৮৭ মিমি।

চাকার সাইজ ও টায়ার

সামনের টায়ারের সাইজ ৯০/৮০-১৭ এবং পেছনের টায়ারের সাইজ ১৩০/৭০-১৭। উভয় টায়ার টিউবলেস এবং অ্যালয় হুইল।

Suzuki gsx r150 বাংলাদেশে কেনার আগে যা জানা দরকার 3

ডিজাইন ও ডাইমেনশন

GSX-R150 এর ওভারঅল দৈর্ঘ্য ২০২০ মিমি, প্রস্থ ৭০০ মিমি, উচ্চতা ১০৭৫ মিমি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬০ মিমি। ওজন ১৩১ কেজি এবং সিট হাইট ৭৮০ মিমি। ইঞ্জিন-অয়েল হিসেবে ১০W৪০ ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈদ্যুতিক ও ফিচার

এই বাইকে রয়েছে ১২ ভোল্টের ব্যাটারি, এলইডি হেডলাইট, হ্যালোজেন টেইল লাইট ও ইন্ডিকেটর। ডিজিটাল স্পিডোমিটার, ওডোমিটার এবং আরপিএম মিটার সুবিধা রয়েছে। স্প্লিট-সিট, তিন-পার্ট হ্যান্ডেল বার ও যাত্রীদের জন্য গ্র্যাব রেলও আছে।

পরিশেষে

GSX-R150 শুধুমাত্র একটি বাইক নয়, এটি আপনার রাইডিং এক্সপেরিয়েন্সকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। শক্তিশালী ইঞ্জিন, সুন্দর ডিজাইন, আধুনিক ব্রেকিং সিস্টেম ও আরামদায়ক সিট – সবকিছুই এই বাইকটিকে দারুণ করে তোলে।

ডিসক্লেইমার: এই আর্টিকেলে দেওয়া তথ্য বিভিন্ন উত্স ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। বাইক কেনার আগে দয়া করে অফিসিয়াল শোরুম বা ডিলারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে সর্বশেষ তথ্য নিশ্চিত করুন।

সূত্র

Ratan Datta
Ratan Datta
আমি রতন দত্ত "স্টার শান্ত" ওয়েবসাইটে ম্যানেজিং ও এডিটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছি। আমি খেলাধুলা, অটোমোবাইল, বিনোদন ও বিভিন্ন বিষয় লেখালেখি করি এবং আমার লক্ষ্য আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সহজে বোঝানো।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ নিউজ