আপনি কি জানেন, জুলাই গণহত্যার মামলা সংক্রান্ত একটি জামিন ইস্যুতে শহীদ পরিবার ও আহতরা আজ অবরোধে বসেছেন? মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর থেকে তারা আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন করছেন। তাঁদের অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে আসামিরা জামিন পাচ্ছেন এবং সরকার এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ড. আসিফ নজরুলের প্রতিক্রিয়া
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ড. আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন, “জুলাই হত্যাকাণ্ডে শহীদ পরিবারের করা একটি মামলায় হাইকোর্ট পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্যকে জামিন দিয়েছে। এটি নিয়ে শহীদ পরিবারের ক্ষোভ স্বাভাবিক। তবে এই জামিনের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।”
তিনি আরও বলেন, “হাইকোর্ট দেশের উচ্চ আদালত এবং এর সিদ্ধান্ত আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাই জামিন বা হাইকোর্টের অন্য কোনো সিদ্ধান্তের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এ জামিনাদেশের বিরুদ্ধে এটর্নি জেনারেলের অফিস আপিল করেছে। দ্রুতই আদালত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। জামিন বাতিল হলে পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করবে।”
শহীদ পরিবার ও আহতদের আন্দোলন
দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের ২ নম্বর ফটকের সামনে অবস্থান নেন। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, আইন উপদেষ্টা পদত্যাগ করুন এবং সংশ্লিষ্ট বিচারকরা অপসারণ হোক।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি: প্যানেল এখনও অনিশ্চিত
শহীদ শেখ শাহরিয়ারের বাবা আবদুল মতিন বলেন, “এক বছর ধরে আমরা বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আইন মন্ত্রণালয়ের আশ্রয় নিয়েও তারা আমাদের সঙ্গে প্রহসন করছে।”
জুলাই আহত আমিনুল ইসলাম যোগ করেছেন, “আমরা আবার রাস্তায় নামলে পরিস্থিতি ভালো হবে না। কিন্তু আমরা কাউকে ভয় পাই না। সরকারের উচিত আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা।”
পুলিশের প্রতিক্রিয়া
পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, “শহীদ পরিবার ও আহতদের দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে অবরোধের কারণে সাধারণ পথচারীরা ভোগান্তির মুখে পড়ছেন।”
আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
এই বিক্ষোভ ও জামিন বিতর্কে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আপনার জানা দরকার, দেশের বিচারপ্রক্রিয়ায় কখনো কখনো আদালতের স্বাধীন সিদ্ধান্ত প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকতে পারে। তবে আপিল প্রক্রিয়া চলার ফলে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার সুযোগ সবসময় থাকে।
সূত্র: ঢাকা মেইল