রাতের অন্ধকারে যখন শহর নিঃশব্দে ঘুমিয়ে থাকে, ঠিক তখনই কিছু মানুষ তাদের ব্যক্তিগত শত্রুতাকে সহিংসতায় প্রকাশ করে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিএনপি নেতাসহ তিনজন আহত হয়েছেন, আর ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় নেতারা বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
হামলার ঘটনাচক্র
শনিবার রাত এবং রোববার বিকেলে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন ও বসুরহাট পৌরসভার হাসপাতাল রোডে দুটি পৃথক হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন (৫০), তার ভাই প্রবাসী বেলাল হোসেন (৩৭) এবং একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের প্রচার সম্পাদক ইদ্রিস (৩৫)।
বেলাল হোসেন জানান, তিনি ও তার ভাই বসুরহাট হাসপাতাল গেটে চা-নাস্তা করছিলেন, তখন স্থানীয় বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ১০-১৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এর আগে শনিবার রাতে একই সন্ত্রাসীরা যুবদল নেতা ইদ্রিসকে গুরুতর আহত করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছিল।
বিএনপির প্রতিবাদ ও হুঁশিয়ারি
ঘটনার প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বসুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে নেতা মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর থেকে চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার ও সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের প্রশ্রয়ে নানা অপকর্ম ঘটে আসছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ কোনো মামলা নিলে শিকদারের অনুমতি ছাড়া তা গ্রহণ করে না, ফলে সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
আরো পড়ুন:
বৈঠকের আগে জেলেনস্কিকে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
দেশে জবাবদিহির পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত প্রয়োজন: তারেক রহমানের বক্তব্য
ফখরুল ইসলাম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে হরতাল, অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
পুলিশের অবস্থান
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, হামলার বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ডিসক্লেমার: এই আর্টিকেলটি বিভিন্ন অনলাইন সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং এটি শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে।